নিজস্ব প্রতিনিধি: দলের অন্দরে বিদ্রোহে জেরবার হয়ে শেষ পর্যন্ত চরম পথেই হাঁটলেন বঙ্গ বিজেপির মুখিয়া সুকান্ত মজুমদার। বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাজ্য বিজেপির সব সেল ও বিভাগ ভেঙে দিয়েছেন তিনি। আর আচমকাই সব সেল ও বিভাগ ভেঙে দেওয়ার খবরে বঙ্গ বিজেপিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে, আচমকাই এমন কী ঘটল যাতে চরম পদক্ষেপের পথে হাঁটলেন বঙ্গ বিজেপির নয়া মুখিয়া?
রাজ্য বিজেপিতে শাখা সংগঠনের পাশাপাশি ৩৫টি সহযোগী সেল ও বিভাগ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, আইনজীবী ও উদ্বাস্তু সেল। মূলত ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাংলায় অপ্রত্যাশিত ফলাফলের পরেই দুই সহযোগী সেল অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। বিশেষ করে আইনজীবী সেলের সক্রিয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো। বিধানসভা ভোট মিটে যাওয়ার পরে রাজ্যের নানা প্রান্তে অশান্তির ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপির আইনজীবী সেল কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করেছিল। ফলস্বরূপ আইনজীবী সেলের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে সদ্য সমাপ্ত কলকাতা পুর ভোটে টিকিটও দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।
এদিন রাতে বিজেপির দফতর সম্পাদক প্রণয় রায়ের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশে দলের সব সেল ও বিভাগের অবলুপ্তি ঘটানো হলো। নতুন কমিটি নিয়োগ না করা পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে। সূত্রের খবর, যেহেতু প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠরাই বিভিন্ন সেল ও বিভাগের শীর্ষ পদে ছিলেন, তাই তাঁদের ডানা ছাঁটতেই এমন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দলের সব শাখা ও বিভাগের মাথায় নিজের ‘মোসাহেবদের’ বসাতে চাইছেন রাজ্য বিজেপির নয়া মুখিয়া। যদিও একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।