নিজস্ব প্রতিনিধি: আগুন লেগেছে পদ্মের বনে। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র ও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পর সেই আগুন যেন আরও ছড়িয়ে পড়ল বাংলার গেরুয়া শিবিরে। তু তু ম্যায় ম্যায় অনেক আগেই শুরু হয়েছিল। এবার শুরু হল প্রকাশ্যে পদ ধরে টানাটানি। দলের ক্ষমতাসীন শিবিরকে লক্ষ্য করে টুইট(Tweet) আক্রমণ। সোশ্যাল মিডিয়ায় বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) নেতা থেকে কর্মীরাই এবার সেই আক্রমণ শুরু করেছেন বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তথা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari), অমিত মালব্য ও অমিতাভ চক্রবর্তীকে লক্ষ্য করে। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের(Sukanta Majumdar) নাম তাতে না থাকলেও তাঁকে যে ৩জন পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ তাঁদেরই টুইটে বিদ্ধ করায় সুকান্তও কার্যত এই আক্রমণের বাইরে নন বলেই অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
এদিন বালিগঞ্জ বিধানসভা ও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল সামনে এসেছে। দুই কেন্দ্রেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বালিগঞ্জে বাবুল সুপ্রিয় জিতেছেন প্রায় ২০ হাজারের ভোটের ব্যবধানে এবং আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহা জিতেছেন প্রায় ৩ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে। তৃণমূলের এই জয় বিজেপির যতনা মুখ পুড়িয়েছে তার থেকেও বেশি তাঁদের অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে বালিগঞ্জে বিজেপির তৃতীয় হওয়া এবং দলের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ায়। এর জেরেই এসেছে টুইট আক্রমণ। সেভ বেঙ্গল বিজেপি নামের একটি টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি টুইট করে লেখা হয়েছে, ‘কবে অমিত শাহ, বি এল সন্তোষ, যে পি নাড্ডা বুঝতে পারবেন যে ফেলিওর গ্যাং শুভেন্দু, অমিত মালব্য, অমিতাভ শুধুমাত্র ইভেন্ট ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন আর বঙ্গ বিজেপির কর্মী ও ভোটারদের কাছে প্রত্যাখাত হয়ে বিজেপিকে আইসিইউ-তে পাঠিয়ে দিচ্ছে।’
তবে শোনা যাচ্ছে দলীয় প্রার্থীদের এমন হতশ্রী দশায় নাকি বেশ খুশি লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষেরা। কারণ, বঙ্গে দলের সাংগঠনিক ত্রুটি-বিচ্যুতির কথা বারবার তুলে ধরছিলেন তাঁরা। অথচ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে গোড়া থেকে সংগঠনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও দিলীপ ঘোষকে উপনির্বাচনের তারকা প্রচারকদের তালিকাতেই রাখা হয়নি। আবার লকেট সর্বভারতীয় বিজেপিতে জায়গা পেলেও তাঁকেও এই উপনির্বাচনের তারকা প্রচারকের তালিকায় রাখা হয়নি। কার্যত এই দুইজনকেই এখন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব চূড়ান্ত উপেক্ষা করে চলছে বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে তাঁদের গুরুত্বহীন করে দেওয়ারও প্রয়াস চলছে বলে অভিযোগ। এখন এই দুইজনই কিন্তু বেশ খুশি দলের এহেন ফলাফলে, অন্তত বঙ্গ বিজেপির বিক্ষুব্ধ অংশের তেমনতাই দাবি।