কুঁদঘাট কাণ্ডে ৫ লক্ষের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা রাজ্যের! হচ্ছে তদন্তও
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কলকাতা পুরনিগমের ৪জন ঠিকাকর্মী। এদের সকলেরই বাড়ি মালদা জেলায়। আলমগীর হোসেন(৪০), জাহাঙ্গীর আলম(২৬), সাবির আলি(২৪) ও লিয়াকত আলি(২২) নামে ওই চারজনই গতকাল ম্যানহোল দিয়ে ভূ-গর্ভস্থ নিকাশি নালার পরিষ্কার করতে নেমেছিলেন। কিন্তু তীব্র জলের স্রোতে ভেসে যান। দুর্ঘটনার প্রায় দুই ঘন্টা বাদে তাঁদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। যদিও হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। সব থেকে মর্মান্তিক বিষয় হল প্রথম তিনজনই একই পরিবারের সদস্য তথা তিন ভাই। চতুর্থজন তাঁদের প্রতিবেশী। কার্যত এক ধাক্কায় দুটি পরিবার নিদারুণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হল।
দুর্ঘটনার জেরে কলকাতা পুরনিগমের তরফে গতকালই ১ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ প্রদানের কথা ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। এদিন সকালে রাজ্য সরকারও মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দেন। একই সঙ্গে কেন এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটলো তা খুঁজে বের করতেও গঠিত হচ্ছে তদন্তকমিটি। কমিটিতে রয়েছেন কলকাতা পুরনিগমের নিকাশি, কেইআইপি ও সিভিলের ডিজি'রা। কেন সাফাই ও নিকাশির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছাড়াই কর্মীদের কাজে পাঠানো হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হবে বলেই এদিন কমিটির তরফে জানা গিয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে গতকাল বিকাল থেকেই শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে, মালদার তালসুট গ্রামের বাসিন্দারা। কারন মৃত চার ঠিকাকর্মীই ছিলেন এই গ্রামের বাসিন্দা। তিন ভাইয়ের পরিবার এখন শোকস্তব্ধ। মৃতদের পরিবার সূত্রে খবর, মৃত চারজনই দীর্ঘদিন ধরেই ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন। কখনও বেঙ্গালুরু, কখনও কেরলে! আগে একসময় কলকাতাতেও কাজ করেছেন। তবে লকডাউন শুরু হতেই করোনার ভয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। পরে পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হতেই মাস তিনেক আগে তাঁরা কলকাতায় যান।
তবে বারবার কেন সাফাই ও নিকাশি কর্মীদের এ হেন বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে, কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে না, তা নিয়েও কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, কেন পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ছাড়া, কেন মাস্ক ছাড়া এভাবে ম্যানহোলে নামলেন তাঁরা? যদিও পুরনিগমের কর্তারা দাবি করেছেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছাড়া সাফাই কর্মীদের কাজে পাঠানো হয় না। এবার তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেবে, যে সংস্থার অধীনে এই কর্মীরা কাজ করছিলেন, তাঁরা আদৌ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছিল কিনা। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন।
দুর্ঘটনার জেরে কলকাতা পুরনিগমের তরফে গতকালই ১ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ প্রদানের কথা ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। এদিন সকালে রাজ্য সরকারও মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দেন। একই সঙ্গে কেন এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটলো তা খুঁজে বের করতেও গঠিত হচ্ছে তদন্তকমিটি। কমিটিতে রয়েছেন কলকাতা পুরনিগমের নিকাশি, কেইআইপি ও সিভিলের ডিজি'রা। কেন সাফাই ও নিকাশির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছাড়াই কর্মীদের কাজে পাঠানো হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হবে বলেই এদিন কমিটির তরফে জানা গিয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে গতকাল বিকাল থেকেই শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে, মালদার তালসুট গ্রামের বাসিন্দারা। কারন মৃত চার ঠিকাকর্মীই ছিলেন এই গ্রামের বাসিন্দা। তিন ভাইয়ের পরিবার এখন শোকস্তব্ধ। মৃতদের পরিবার সূত্রে খবর, মৃত চারজনই দীর্ঘদিন ধরেই ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন। কখনও বেঙ্গালুরু, কখনও কেরলে! আগে একসময় কলকাতাতেও কাজ করেছেন। তবে লকডাউন শুরু হতেই করোনার ভয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। পরে পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হতেই মাস তিনেক আগে তাঁরা কলকাতায় যান।
তবে বারবার কেন সাফাই ও নিকাশি কর্মীদের এ হেন বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে, কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে না, তা নিয়েও কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, কেন পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ছাড়া, কেন মাস্ক ছাড়া এভাবে ম্যানহোলে নামলেন তাঁরা? যদিও পুরনিগমের কর্তারা দাবি করেছেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছাড়া সাফাই কর্মীদের কাজে পাঠানো হয় না। এবার তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেবে, যে সংস্থার অধীনে এই কর্মীরা কাজ করছিলেন, তাঁরা আদৌ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছিল কিনা। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন।
More News:
20th April 2021
20th April 2021
20th April 2021
19th April 2021
19th April 2021
19th April 2021
19th April 2021
19th April 2021
19th April 2021
Leave A Comment