নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য সরকারি কর্মীদের(West Bengal State Government Employees) বিরোধ মীমাংসা সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি হয় State Administrative Tribunal বা SAT-এ। এই আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে গেলে যেতে হয় কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চে বা সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court)। কিন্তু বাংলার বুকে সেই SAT’র ৩টি বেঞ্চের শূন্যপদগুলি দীর্ঘদিন ধরেই পূরণ করার দাবি জানানো হচ্ছিল। কেননা গত বছরের নভেম্বর থেকে একটিমাত্র বেঞ্চে প্রশাসনিক সদস্য হিসেবে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত IAS অফিসার সৈয়দ আমেদ বাবা। শূন্যপদের সংখ্যা থাকায় SAT-এ নানা মামলার শুয়ানির ক্ষেত্রে খুবই সমস্যা হচ্ছে। তবে এবার রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে এই সব শূন্যপদ পূরণ করার জন্য।
আরও পড়ুন ব্যক্তিগত তথ্য পাচারের দায়ে ১.২ বিলিয়ন Euro জরিমানা Facebook’র
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, SAT-এ প্রতিটি বেঞ্চে ১ জন বিচারবিভাগীয় সদস্য এবং ১ জন প্রশাসনিক সদস্য থাকার কথা। বেঞ্চের চেয়ারম্যান হন যিনি বিচার বিভাগীয় সদস্য। কিন্তু রাজ্যের SAT-এ ৩টি বেঞ্চের ৩জন বিচারবিভাগীয় সদস্যের পদ তো ফাঁকাই পড়ে রয়েছে, উপরন্তু ৩টি বেঞ্চে ২জন প্রশাসনিক সদস্যের পদও ফাঁকা পড়ে রয়েছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৫টি শূন্যপদ রয়েছে সেখানে। কয়েকমাস আগে রাজ্যের অর্থ দফতর SAT-এ ১জন করে বিচারবিভাগীয় ও প্রশাসনিক সদস্য নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। এখন ফের নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে ২ জন বিচারবিভাগীয় ও ১জন প্রশাসনিক সদস্য গ্রহণের জন্য। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াগুলি সম্পূর্ণ হলে SAT’র ৩টি বেঞ্চে আর কোনও শূন্যপদ থাকবে না। যদিও শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও প্রক্রিয়াটি বেশ সময়সাপেক্ষ। ফলে SAT-এ মামলার শুনানি নিয়ে সমস্যা আপাতত থাকবে।