এই মুহূর্তে

গণতন্ত্রের সন্ধ্যায় চা-চক্রে রাজ্যপালের হাতেখড়ি

নিজস্ব প্রতিনিধি: কাকতালীয় অবশ্যই। কেননা বাঙালি মনে করতে পারছে না শেষ কবে গণতন্ত্র দিবস(Republic Day) আর সরস্বতী পুজো(Saraswati Puja) একই দিনে পড়েছিল। ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি সেই অর্থে অবশ্যই বাঙালির হৃদয়ে দীর্ঘদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাকে আরও বেশি করে গেঁথে রাখবেন বাংলার নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস(C V Anand Bose)। কেননা এদিন তাঁর শেখার ইচ্ছাতেই গণতন্ত্রের সন্ধ্যায় রাজভবনে আয়োজিত চা-চক্রের বাড়তি আকর্ষণই হয়ে ওঠে তাঁর হাতেখড়ির অনুষ্ঠান। প্রথামাফিক গণতন্ত্র দিবসের সন্ধ্যায় রাজভবনে রাজ্যপালের তরফে চা-চক্রের আয়োজন করা হয়। সেই চা-চক্র ঘিরে অনেকেরই নজর থাকে। কে ডাক পেলেন আর কে পেলেন না, রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর রসায়ন কেমন, কোন কোন বিরোধী নেতা রাজ্যপালের সান্নিধ্যে এলেন এই সবই দেখার জন্য হা পিত্যেশ করে বসে থাকে বাঙালিও। এবারেও ছিলেন। কিন্তু সেই আগ্রহকে ছাপিয়ে গিয়েছিল খোদ রাজ্যপালের হাতেখড়ির অনুষ্ঠান যা রাজনীতি বিবর্জিত হয়ে থেকে গেল।

আরও পড়ুন বাংলা শিখলেন রাজ্যপাল, মালয়ালম বললেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজভবনে আসা ইস্তক রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সুসম্পর্কেরই ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এদিন সকালে কলকাতার রেড রোডে আয়োজিত গণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে অভিবাদন গ্রহণ অবশ্য রাজ্যপালের সাংবিধানিক কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকতার বাইরেও বৃহস্পতিবারের রেড রোড যে খণ্ডদৃশ্যগুলি দেখা গিয়েছে স‌েগুলি জুড়লে রাজ্য ও রাজভবনের ‘সৌহার্দ্যে’র ছবিটিই ধরা পড়ে। রেড রোডের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঘাড় নাড়াতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। তাঁর মুখেও লেগে ছিল তৃপ্তির হাসি। অনুষ্ঠানের একেবারে শেষ লগ্নে গাড়িতে ওঠার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) কাছে গিয়ে নমস্কার জানান রাজ্যপাল। প্রতিনমস্কার জানান মুখ্যমন্ত্রীও। এই ছবিই বলে দিচ্ছে দুই পক্ষই আপাতত পরস্পরের ভূমিকায় সন্তুষ্ট। সেই ছবিটাই কার্যত ধরা পড়েছে বিকালে চা-চক্রের অনুষ্ঠানেও।

আরও পড়ুন রাজ্যপাল লিখলেন অ আ, দিলেন গুরুদক্ষিণাও

নতুন রাজ্যপাল গোড়া থেকেই রাজ্যের তৃণমূল সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, বাংলাই দেশকে পথ দেখাবে। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে ভালবেসে এই ভাষাটি শিখে নেওয়ারও ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। আর সে জন্যই বৃহস্পতিবার বাংলায় ‘হাতেখড়ি’ হল বাংলারই প্রাক্তন এই আমলার। এক দ্বাদশ বর্ষীয়া এক কন্যার হাত ধরে চক পেন্সিল দিয়ে তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সহ গণমান্য বুক্তিদের সামনে লিখলেন ‘অ আ’। শিখলেন ‘মাদার’ মানে ‘মা’, ‘আর্থ’ মানে ‘ভূমি’। দিলেন গুরুদক্ষিণা। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পেলেন হাতেখড়ির উপহারও। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে দিলেন দুটি বর্ণপরিচয় বই। এদিনের অনুষ্ঠানে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুও(Baiman Basu) উপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁর দাবি, তিনি চা-চক্রের অনুষ্ঠানে এসেছেন, হাতেখড়ির অনুষ্ঠানে নয়। উপস্থিত ছিলেন তথাগত রায়ও(Tathagata Roy)। তবে রাজনৈতিক দলের নেতা হিসাবেও নয়। উপস্থিত ছিলেন দেশের একাধিক রাজ্যের প্রাক্তন বাঙালি রাজ্যপাল হিসাবেই। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তবে তিনি আসেননি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে অলোক সিনহা

ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য ছুটি পাবেন তো অফিস থেকে, জারি হয়ে গেল বিজ্ঞপ্তি

সিপিএমের হয়ে প্রচার নয়, কংগ্রেস নেতার নির্দেশ ঘিরে শোরগোল

২৪’র ভোটে বাংলায় স্পেশাল পুলিশ অবজার্ভার বিজেপি ঘনিষ্ঠ অনিল কুমার শর্মা

ইডি-র ওপর হামলার তদন্তে সন্দেশখালির দুই বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

শেষ হয়ে গেল রাজ্য সরকারের অর্থবর্ষ, সমস্যায় বেশ কিছু দফতর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর