নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামীকাল ১৫ মার্চ বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলা ঝাড়গ্রাম ,পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান সহ মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হবে। এইসব জেলাগুলিতে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইবে। ১৬ এবং ১৭ ই মার্চ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা বৃষ্টি বা কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি এবং সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইবে। আগামী ১৮ ও ১৯ জুলাই বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাতেই । কলকাতাতেও ১৬ই মার্চ থেকে দমকা হাওয়া বইবে এবং সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হবে ।
তবে একনাগাড়ে বৃষ্টিপাত হবে না। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের(Alipur Weather Office) অন্যতম আধিকারিক সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার এই খবর জানান ।তিনি বলেন, ঝাড়খণ্ডের ওপরে একটি ঘূর্ণাবর্তা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় ও বঙ্গোপসাগর (Bay Of Bengal)থেকে জলীয় বাষ্প প্রবেশের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ২১ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গের সব জেলাতেই ঝড়ো হওয়া এবং হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত জারি থাকবে। এর দরুণ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আকাশ মেঘলা হওয়ায় ও বৃষ্টিপাত শুরু হলে গড়ে দুই থেকে চার ডিগ্রি কমে যাবে। দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal)জন্য আগামী ২৪ ঘণ্টায় প্রধানত শুষ্ক ওয়েদার থাকবে।আংশিক মেঘলা আকাশ থাকার সম্ভাবনা থাকছে। শুধু আমাদের পূর্ব দিকে কয়েকটি জেলায় মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা এই জেলাগুলোতে দু এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
১৫ তারিখ থেকে আমাদের পশ্চিমে জেলাগুলিতে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এই জেলাগুলোতে ঠান্ডা স্টর্ম অ্যাক্টিভিটি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের। বৃষ্টিপাতের সাথে দমকা হাওয়া ৩০ থেকে ৪০ প্রতি ঘণ্টায় বইবে। ১৬ তারিখ থেকে এটা বাড়বে। ১৭ তারিখ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাগুলোতে বিক্ষিপ্তভাবে থান্ডারস্টর্ম অ্যাক্টিভিটি থাকার সম্ভাবনা থাকছে। সেই সাথে থাকবে হালকা ধরনের বৃষ্টি ।কোথাও কোথাও আবার দমকা হাওয়া ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে প্রত্যেক ঘণ্টায় স্পিডে থাকছে। ১৮এবং ১৯ মার্চ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। আর এই স্পেলটা ২১ তারিখ পর্যন্ত কন্টিনিউ করবে।
কলকাতা(Kolkata) বা তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ১৬ তারিখ থেকে এই এক্টিভিটি সম্ভাবনা কলকাতার ক্ষেত্রেও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত এবং সেই সঙ্গে দমকা হাওয়া ৩০ থেকে ৪০কিলোমিটার প্রতি ঘন্টাতে স্পিড থাকবে। একটানা বৃষ্টি পাতের সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা আগামী দু দিনে খুব একটা চেঞ্জ নেই। তবে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পর একটু মেঘলা আকাশ হওয়ার পর দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি মতো কমবে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী দু’দিন উত্তরের যে জেলাগুলি আছে অর্থাৎ দার্জিলিং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এই জেলাগুলোতে ঠান্ডা স্টর্ম অ্যাক্টিভিটি এবং হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে । দু এক জায়গায় শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা থাকছে। মাঝেমধ্যে আমরা আংশিক মেঘলা আকাশ দেখতে পাচ্ছি সেটা কন্টিনিউ করবে এবং মেঘলা আকাশ আরেকটু বাড়বে এর কারণ হলো ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand)কাছাকাছি একটি ঘুর্নবর্তা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং বঙ্গোপসাগর দিয়ে আসা জলীয় বাষ্পর প্রভাবে আমরা মাঝেমধ্যেই আংশিক মেঘলা আকাশ দেখতে পাচ্ছি বলে জানান সৌরিশবাবু ।