নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী বৃহস্পতিবার রামনবমী(Ramnabami)। ওই দিনটিতে রাজ্যের কমপক্ষে ২০টি জায়গায় অস্ত্রমিছিলের(Arms Rally) প্রস্তুতি নিচ্ছে গেরুয়া শিবির। আর এই মিছিলের জন্য গেরুয়া শিবিরের তরফে আয়োজনের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) এক মন্তব্যকে হাতিয়ার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে এই ২০টি জায়গায় থেকে যে মিছিল বার হবে তা নাকি পরম্পরাগত। যদিও তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আর সেই প্রশ্ন আছে বলেই রাজ্যের ২০টি থানা এলাকাকে এখন থেকেই সতর্ক থাকতে কড়া নির্দেশ দিয়ে দিল নবান্ন(Nabanna)।
আরও পড়ুন গরু পাচার মামলায় কাঠগড়ায় BSF, তদন্তের জাল গোটাচ্ছে CID
এবারে গেরুয়া শিবিরের তরফে রামনবমীর দিন রাজ্যের ২০টি জায়গায় অস্ত্রমিছিলের আয়োজনের মূল হোতা ‘হিন্দু জাগরণ মঞ্চ’(Hindu Jagaran Mancha)। এই অস্ত্রমিছিল আয়োজনের জন্য তাঁরা হাতিয়ার করেছে ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রীর করা একটি মন্তব্যকে। সেই মন্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, যেখানে যেখানে রামনবমীর দিনে অস্ত্রমিছিলের পরম্পরা রয়েছে সেখানে হবে। এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে রাজ্যের ২০টি থানা এলাকায় অস্ত্রমিছিলের আয়োজন করছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। তাঁরা এটাও জানিয়ে দিয়েছে এই ২০টি জায়গা ভিন্ন তাঁরা অন্য কোথাও অস্ত্র মিছিলের আয়োজন করছে না। তবে যে যে জায়গায় অস্ত্রমিছিলের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, সেগুলির সবই ‘ঐতিহ্যবাহী’ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। সে ক্ষেত্রে পুলিশ-প্রশাসন তার অনুমতি দেবে কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। সেই কারণেই রামনবমীর প্রস্তাবিত অস্ত্রমিছিল ঘিরে রাজ্য প্রশাসন ও শাসক তৃণমূলের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের টানাপড়েন সংঘাতের আবহ তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুন ‘অযথা বিব্রত করা হচ্ছে’, বিশ্বভারতীকে কড়া চিঠি অমর্ত্যের আইনজীবীর
বিশ্ব হিন্দু পরিষদও ফি-বছর রামনবমীতে রাজ্য জুড়ে মিছিল, শোভাযাত্রার আয়োজন করে। এ বারেও পরিষদ রাজ্যে প্রায় ৯০০টি এলাকায় মিছিল বা অন্য কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পরিষদের চেয়েও বেশি করে বাংলায় রামনবমী পালন এবং সেই উপলক্ষ্যে ‘অস্ত্রমিছিল’-এর উদ্যোগ নেয় সঙ্ঘ পরিবারের অপর সংগঠন ‘হিন্দু জাগরণ মঞ্চ’, একটা সময়ে যার দায়িত্বে ছিলেন অধুনা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রামের নামে মিছিলে অস্ত্র ব্যবহার যে এ বারেও হবে, তার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে জাগরণ মঞ্চের প্রস্তুতিতে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের মোট ২০টি জায়গায় অস্ত্র নিয়ে মিছিলের প্রস্তুতি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হুগলি জেলার চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর, বীরভূমের সিউড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর, উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার মতো এলাকা। রয়েছে জগদ্দল, টিটাগর, কামারহাটি ও খড়দহ থানা এলাকাও। আছে হুগলির চুঁচুড়া ও হাওড়া জেলার হাওড়া শহরও।