এই মুহূর্তে




BGBS 2025: বৃহস্পতিবার থেকেই দেউচা পাঁচামি প্রকল্পের কাজ শুরু, বড় ঘোষণা মমতার




নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (বিজিবিএস) মঞ্চ থেকেই দেউচা-পাঁচামি কয়লা প্রকল্প নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪০টি দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে তিনি ঘোষণা করেন, ‘আগামিকাল বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) থেকেই দেউচা-পাঁচামিতে ব্যাসল্ট (কয়লা) উ‍ৎপাদন শুরু হবে। সমস্ত পরিকাঠামো তৈরি। জমিদাতাদের পরিবারের সকলে চাকরি পাবে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ তৈরি।’

বীরভূমের মহম্মদবাজারে রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম কয়লা খনি দেউচা-পাঁচামি। ওই প্রকল্প পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হলে যেমন বাংলায় বিনিয়োগের জোয়ার বয়ে যাবে তেমনই কর্মসংস্থানের নয়া দিগন্ত খুলে যাবে। প্রথম দিকে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের উস্কানিতে প্রকল্পের কাজে বাধা তৈরি করেছিলেন আদিবাসীদের একাংশ। তবে রাজ্য সরকার বিষয়টি অত্যন্ত মানবিক এবং সংবেদনশীলভাবে হ্যান্ডেল করায় বাধা কেটে যায়। যদিও প্রকল্পের শ্লথগতি নিয়ে গত মাসেই নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের ধমকের পরদিনই দেউচা-পাঁচামিতে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে শীর্ষ আমলা ও পুলিশ কর্তারা।

এদিন থেকেই নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (বিবিজিএস)। ৪০টি দেশ থেকে শিল্পপতি-সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন। হাজির হয়েছেন ২০টি অংশীদার দেশের রাষ্ট্রদূত। দেশের শীর্ষ শিল্পপতি তথা রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানি, জিন্দল গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান তথা এমডি সজ্জন জিন্দলরাও মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয়েছেন। দুজনেই বাংলার বিদ্যু‍ৎ ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেন। ওই ঘোষণার পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলতে উঠে জানান, ‘দেউচা-পাঁচামি প্রকল্প সম্পূর্ণ তৈরি। চাইলে বৃহস্পতিবার থেকেই কয়লা উ‍ৎপাদন শুরু হতে পারে।’

দেশি-বিদেশি প্রতিনিধিদের সামনে তাঁর নেতৃত্বে বাংলার সরকার কীভাবে সাধারণ মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প চালু করেছেন তা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘আমরা ভাগাভাগিতে বিশ্বাস করি না। বরং একতায় বিশ্বাস করি। বাংলার মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই গরিব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প চালু করেছি। গরিব পরিবার নিঃখরচায় চিকি‍ৎসার সুবিধা পাচ্ছেন। জনগণের দরজায় প্রশাসনকে নিয়ে যেতে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির খুলেছি। ওই শিবির থেকেই মানুষ সরকারি যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন।’ ক্ষমতার পালাবদলের পরে বাংলায় শিল্পবান্ধব পরিবেশ গড়ে উঠেছে বলে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে শিল্পের জন্য ৫০০০ একর জমি সম্বলিত ল্যান্ড ব্যাঙ্ক রয়েছে। অনেকে বিনিয়োগ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। কিন্তু গত কয়েক বছরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গেটওয়ে বা প্রবেশদ্বার হয়ে উঠেছে বাংলা। বর্তমানে বাংলার অর্থনীতি দেশের অনেক রাজ্যের থেকে ভাল। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বাংলা এক নম্বর। গত কয়েক বছরে ১২ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ট্রাক্টরের সঙ্গে বাইকের ভয়াবহ সংঘর্ষে মৃত্যু যুবকের, গুরুতর জখম আরও ২

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা পেয়েও কেন কাজ করাননি? বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ধমক বিডিও’র

সৎ ভাইকে গঙ্গায় ফেলে দিয়ে গা ঢাকা, অবশেষে গ্রেফতার দাদা, তোলপাড় নবদ্বীপ

সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন, ডোমজুড়ে ৪ বছরের শিশুর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার

খাদিম-কর্তা অপহরণ মামলায় বেকসুর খালাস আখতার হোসেন

পণের টাকা দিতে না পারায় লাগাতার যৌন নির্যাতন, স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা স্বামীর বিরুদ্ধে

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর