নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা হাইকোর্টে চলছিল ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি। সূত্রের খবর, শুক্রবার এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে হাইকোর্টে। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছেন হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। তিনি শুনানিতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলেও জানা গিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘নির্বাচন কমিশনের হলফনামা ত্রুটিপূর্ণ ও ভুলে ভরা’।
রাজ্য়ের তিন আসনে ভোট ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। এরমধ্য়ে শুধু ভবানীপুরে উপনির্বাচন হবে। বাকি দুই আসনে স্থগিত হওয়া ভোট হবে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে রাজ্য়ে আরও কয়েকটি আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সব আসনে ভোট না করিয়ে শুধুমাত্র ভবানীপুরেই কেন উপনির্বাচন করানো হচ্ছে সেটা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল।
কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে জানা যাচ্ছে শুক্রবার শুনানি চলাকালীন নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যসচিব কী উদ্দেশ্য কমিশনকে চিঠি লিখেছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মুখ্যসচিব কেন চিঠিতে সাংবিধানিক সঙ্কটের উল্লেখ করেছেন, একটি বিধানসভায় সাংবিধানিক সঙ্কট হলে, বাকিগুলির জন্য কেন নয়? তাঁর পর্যবেক্ষণ, একটা নির্বাচন করাতে কত টাকা খরচ হয়!দেশজুড়ে প্রার্থীরা একটি আসনে জিতছেন, ছাড়ছেন, আবার ভোট হচ্ছে।
ভবানীপুরে কেন উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে। এমন আশঙ্কা কে প্রকাশ করেছিল? এই বিষয়ে শুক্রবারের মধ্য়েই নির্বাচন কমিশনের হলফনামা চেয়েছিল হাইকোর্ট। মামলাকারী হাইকোর্টে দাবি করেছিলেন, দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর,উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, নদিয়ার শান্তিপুর এবং কোচবিহারের দিনহাটা এই ৫ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুধুমাত্র ভবানীপুরেই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এই মামলার শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট।