নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপির রাজ্য সভাপতির কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহ চলছেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে সাংসদ, বিধায়ক কিংবা নিচুর তলার কর্মী সকলেই দলের লাইনের বিরুদ্ধে গিয়ে বক্তব্য রাখছেন। কিংবা দল ছেড়ে দিচ্ছেন। এর মাঝেই রাজ্যে বনগাঁ বিজেপির সাংসদ তথা কেন্দ্রের জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের পিকনিক রাজনীতি নতুন করে দলের মধ্যে অসন্তোষ বাড়িয়েছে। যার প্রভাব দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেই কোন্দল সামলাতে এবার রাজ্য বিজেপি দ্বারস্থ হচ্ছে মা সরস্বতীর কাছে। সূত্রের খবর, সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্য বিজেপির তরফে আয়োজন করা হচ্ছে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। দলে পদ না পেয়ে দূরে সরে থাকা বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের পুজোর দুপুরে রাজ্য দফতরে খিচুড়ি খাওয়ারও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, ‘সরস্বতী পুজোর দিন পার্টি অফিসে আসার জন্য সকলকেই আমরা আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। পার্টি সদস্য-কর্মী-সমর্থক সকলেই আসবেন।’ একুশের ভোটের আগে ইজেডসিসিতে জাঁকিয়ে দুর্গাপুজো করা হয়েছিল। যা ভোটের ভরাডুবির পর নমো নমো করে সেরেছে রাজ্য বিজেপি। এবার দলের বিক্ষুদ্ধদের সামলাতে সরস্বতী পুজোকে হাতিয়ার করে ঘর সামলাতে চাইছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এমনিতেই দল বিরোধী মন্তব্য করার জন্য জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে সাময়িক বরখাস্ত করায় তেতে রয়েছে কিছু আদি বিজেপি কর্মীরা। তাদেরও মন ভোলাতে হাতিয়ার করা হচ্ছে সরস্বতী পুজোকেই।
মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির সদর দফতরের নীচে হলঘরে পুজো হবে। পুজোর আয়োজনের দায়িত্ব রয়েছেন মহিলা মোর্চার নেত্রীরা। মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, দুপুরে থাকছে গোবিন্দভোগ চালের খিচুড়ি ভোগ, নিরামিষ আলুরদম সহকারে আহারের আয়োজন। কোভিড বিধি মেনেই পুজো হবে। আর রাজ্য দফতরের বাইরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।