এই মুহূর্তে

মমতার পাশে নেই কংগ্রেস, খুশ গেরুয়া শিবির

কৌশিক দে সরকার: অনুমান আগে থেকেই ছিল। সেটাই কার্যত বছর শেষের ল্গনে ফাঁস করে দিলেন কংগ্রেস(INC) নেতা কমলনাথ(Kamalnath)। সাফ জানালেন ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার একজনই, তিনি কংগ্রেসের রাহুল গান্ধি(Rahul Gandhi)। আর এই ঘোষণাই কার্যত বলে দিচ্ছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) পাশে থাকছে না কংগ্রেস। তাই তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সমর্থন জানানোরও কোনও প্রশ্ন নেই কংগ্রেসের তরফে। এক্ষেত্রে কংগ্রেসের আরও একটা সুবিধা হল কিছু আঞ্চলিক দলের সমর্থন। বিশেষ করে সংযুক্ত জনতা দল(JD-U), জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি(NCP), ডিএমকে(DMK) এবং অবশ্যই বামেদের সমর্থন থাকছে কংগ্রেসের জন্য। আর এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়াতে বেশ খুশি গেরুয়া শিবির। কেননা কংগ্রেস যদি মমতাকে সমর্থন না করে তাহলে তৃণমূল সুপ্রিমোর কিছুটা হলেও বিজেপির প্রতি নির্ভরশীলতা বাড়বে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবি জানানোর জন্য।

আরও পড়ুন ভার্চুয়ায়লি যে ৫ প্রকল্পের উদ্বোধনে মোদি, তার ৪টি রেলমন্ত্রী মমতার

কংগ্রেস যে গান্ধি পরিবারের বাইরে পা রাখবে না দল বা দেশের নেতৃত্বের ক্ষেত্রে সেটা আগেই বোঝা গিয়েছিল। সেই কারণেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি পদে বসানো হয়েছে গান্ধি পরিবারের আস্থাভাজন মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। এবার প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে রাহুল গান্ধিকে। আর গান্ধি পরিবারের বাইরে পা না রাখার মানসিকতার জন্যই যে তাঁরা মমতাকে প্রধানমন্ত্রী পদে সমর্থন জানাবে না সেটা আগেই বোঝা গিয়েছিল। তাই কমলনাথের ঘোষণার মধ্যে অস্বাভাবিকতা কিছু নেই। তবে ঘোষণা আর বাস্তবের মধ্যে অনেক ফারাক থাকে। দেশময় কংগ্রেস এখন এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে যেখানে তাঁরা ১০০টা আসনও পাবে কিনা সন্দেহ। বস্তুত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, ২০২৪ সালে বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। আর চট করে কোনও রাজনৈতিক দল বিজেপিকে সমর্থন জানাতে এগিয়ে আসবেও না। কেননা বিজেপি সব বড় আঞ্চলিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করে বসে আছে। কংগ্রেসের পাশেও সেই ভাবে আঞ্চলিক দলের ভিড় দেখা যাবে না। কিন্তু ২৪ এর ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) পাশাপাশি ভাল ফল করবে সমাজবাদী পার্টি(SP), রাষ্ট্রীয় জনতা দল(RJD), বিজু জনতা দল(BJD), আপ(AAP), শিবসেনা(SS), তেলেগু দেশম পার্টি(TDP), ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা(JMM), ধর্মনিরপেক্ষ জনতা দল(JD-S). এই দলগুলির কারোরই কংগ্রেস বা বিজেপিকে সমর্থন জানানোর বাধ্যবাধকতা নেই। আর এই দল্গুলির মধ্যে যে তৃণমূলই সব থেকে বেশি আসন পেতে চলেছে সেই নিয়েও কোনও সন্দেহ নেই।

আরও পড়ুন শ্লোগানকাণ্ডে কাঠগড়ায় পূর্ব রেলের সিপিআরও এবং ডিআরএম

এবার এই দলগুলি যদি মমতাকেই তাঁদের নেত্রী হিসাবে মেনে নিয়ে সরকার গঠন করতে চায় তখন কিন্তু কংগ্রেসের পাশে না বামেরা থাকবে না অন্য কোনও আঞ্চলিক দল। আর এই অবস্থায় কংগ্রেস তথা গান্ধি পরিবারকে সরকার গঠনের জায়গা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে বিজেপি(BJP) যদি মমতাকে সমর্থন করে দেয় প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য তখন কিন্তু কংগ্রেসের কাছে বিরোধী আসনে বসা ভিন্ন দ্বিতীয় কোনও রাস্তা খোলা থাকবে না। আর সেই কারণেই কমলনাথের ঘোষণায় বেশ খুশ গেরুয়া শিবির। কেননা একদিকে তাঁরা যেমন চান না কংগ্রেস শক্তিশালী হোক তেমনি তাঁরা এটাওঞ্চান না যে মমতা পুরোপুরি তাঁদের হাতের বাইরে চলে যাক। কার্যত ২০২৪ সালের কথা মাথায় রেখেই এখন মমতার সঙ্গে দূরত্ব কমাচ্ছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কেননা তাঁদের হিসাব, যদি ২৫০ এর আশেপাশে বিজেপি আসন পায় তাহলে মমতার মতো আঞ্চলিক দলকে এনডিএ-তে টেনে এনে তৃতীয়বারের জন্য মোদি সরকার গঠন করার পথে হাঁটবেন তাঁরা। সমস্যা হচ্ছে এসব দেখেশুনে বুজেও মমতাকে দূরে ঠেলে রাখতে চাইছে কংগ্রেস। আগামী দিনে তাই মোদি(Narendra Modi)-মমতাকে যেমন আরও পাশাপাশি দেখা যাবে তেমনি বাংলার জন্যও মোদি সরকারের বরাদ্দ বাড়বে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যের চাহিদা অনুযায়ীই কেরোসিন বরাদ্দ করবে কেন্দ্র, নির্দেশ হাইকোর্টের

‘বাংলাবিদ্বেষী বিজেপি বাংলার সংস্কৃতিকে উপহাস করছে’, তৃণমূলের আক্রমণে অস্বস্তিতে বিজেপি

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

পাহাড়পুরে বাড়ি ভাঙার কাজ স্থগিত ,আদালতে গেলেন বাড়ির মালিক

কপালে স্টিকিং প্লাস্টার নিয়ে ইফতারে হাজির মমতা

রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে অলোক সিনহা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর