নিজস্ব প্রতিনিধি: ধাক্কার পর ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে। শুধুই কলকাতার পুরভোটে হেরে প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হওয়াই নয়, ভোটের ওয়ার্ডভিত্তিক ফলাফল দেখলে দেখা যাচ্ছে শহরের ১১টি বিধানসভা কেন্দ্র ও ২টি লোকসভা কেন্দ্রে অনেকটা জমিই হারিয়ে ফেলেছে গেরুয়া বাহিনী। তুলনায় অনেকটাই ভাল অবস্থায় রয়েছে কংগ্রেস। কলকাতা পুরনিগমের ১৪৪টি ওয়ার্ড ছড়িয়ে রয়েছে ১৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে। আছে ৪টি লোকসভা কেন্দ্রও। যদিও মূল কলকাতায় বিধানসভা কেন্দ্রের সংখ্যা ১১ ও লোকসভা কেন্দ্রের সংখ্যা ২। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এই ১৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১৬টিতে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল। পেয়েছিল প্রায় ২৮ শতাংশ ভোট। কিন্তু সেই ছবিটাই আমূল বদলে গিয়েছে পুরনির্বাচনে। দেখা যাচ্ছে মাত্র ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। বাকি ১১টিতেই তাঁদের জমি খোয়া গিয়েছে।
কলকাতার পুরনির্বাচনের ফল বলে দিচ্ছে বিজেপি এখন ক্রমশ তার জনপ্রিয়তা আর গ্রহণযোগ্যতা দুই খোয়াচ্ছে। এমনকি তাদের চিরাচরিত গড়েও তাদের পরাজয় ঘটছে। কলকাতা পুরনিগমের ১৪৪টি ওয়ার্ড যে ১৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে ছড়িয়ে রয়েছে তাদের মধ্যে ৬টিতে বিজেপি এবারে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখলেও ৪টি আসনে তাঁদের ধাক্কা দিয়ে তৃতীয় বা চতুর্থ স্থানে উঠে পাঠিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। এই ৪টি বিধানসভাকেন্দ্র হল বেলেঘাটা, চৌরঙ্গি, বালিগঞ্জ এবং মেটিয়াবুরুজ। বাকি ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের দ্বিতীয় স্থানে আছে বামেরা। মানে ওই ১৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তৃণমূল সবকটিতেই এগিয়ে। তারপরেই থাকছে বামেরা। তারপর বিজেপি ও কংগ্রেস। লোকসভা কেন্দ্রের দিকে তাকালে সেখানেও এই একই ছবি ধরা পড়বে। দেখা যাচ্ছে কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণ এই দুই লোকসভা কেন্দ্রে মিলিয়ে তৃণমূল বিজেপির থেকে প্রায় ১০ লক্ষ ভোটের লিড তুলে নিয়েছে। উত্তর লোকসভা কেন্দ্রতে বিজেপি ও তৃণমূলের ব্যবধান দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ ৬০ হাজার ভোটের এবং দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে সেই ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ভোটের। যাদবপুর ও ডায়মণ্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রেও তৃণমূল ব্যবধান বাড়িয়েছে বিজেপির থেকে।