নিজস্ব প্রতিনিধি: খবর রটেছিল আগেই। বিজেপি বিধায়ক হিরণ (HIRAN CHATTERJEE) না কি তৃণমূলে ঢুকতে চাইছেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছিল, একাধিক বিজেপি নেতানেত্রী যোগ রাখছেন জোড়াফুল শিবিরের সঙ্গে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ABHISHEK BANERJEE) আগেই বলেছিলেন, ৫ সেকেণ্ডের জন্য দরজা খোলার কথা। ইঙ্গিত দিয়ছিলেন, বাছাই করে দলে নেওয়ার। তারপরে আজ প্রকাশ্যে এল তৃণমূল দফতরে হিরণের ছবি। মানে, তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন?
ভাইরাল হয়েছে ছবিটি ইতিমধ্যেই। বিজেপি (BJP) বিধায়ককে (MLA) দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের (TMC) মেদিনীপুর ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি’র সঙ্গে। কানে ফোন পদ্ম শিবিরের বিধায়কের। হাসি মুখ। প্রশ্ন, ফোনের ওপারে কে? জল্পনা, ছবিটি চলতি মাসের ১০ তারিখের। যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি ডব্লু ডব্লু ডব্লু ডট এই মুহূর্তে ডট কম।
ভাইরাল হওয়া ছবি নিয়ে খবর লেখা পর্যন্ত মুখ খোলেননি হিরণ। তবে অজিত মাইতি এই প্রসঙ্গে বলেন, এখন এই বিষয়ে কিছুই বলার নেই। উত্তর দেবে সময়। প্রসঙ্গত, গত ১০ জানুয়ারি খবর এসেছিল ৩ বিজেপি আচমকাই হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন গেরুয়া শিবিরের তারকা বিধায়ক। তবে কি তিনিই হিরণ? তাহলে বাকি ২জন কারা?
আরও পড়ুন: অভিষেকের দফতরে আচমকাই হাজির ৩ বিজেপি বিধায়ক, দলবদলের জল্পনা তুঙ্গে
উল্লেখ্য, হিরণ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। তাই কি সরলেন হিরণ? এই ছবিকে কেন্দ্র করে তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি। তাও আবার সরসঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত ও বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডা’র সফরের মাঝেই প্রকাশ্যে এই ছবি। হিরণ বিষয়কে কেন্দ্র করে দুর্গাপুরে ইতিমধ্যেই বৈঠকে বসেছে বিজেপি।
বিশেষ সূত্রে খবর, তৃণমূলের বেশ ‘বড়সড়’ এক নেতার কলকাতার একটি কার্যালয়ে তোলা ওই ছবি।