নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপির শাখা সংগঠনে বিস্তর রদবদল। যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, কলকাতা পুরভোটে লজ্জাজনক ফলের পর ক্ষুদ্ধ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই পুরভোটের ফলাফলের পরদিনই রাজ্য বিজেপির একাধিক শাখা সংগঠনে রদবদল করেছে গেরুয়া শিবির। যার মূল কোপ পড়েছে দু’জনের উপরই। যার একটি হল যুবমোর্চার সভাপতি থেকে সৌমিত্রের সরিয়ে দেওয়া ও মহিলা মোর্চার নেত্রী হিসেবে বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে সরানো। রাজ্য বিজেপির সম্পাদকের পদ খুইয়েছেন সায়ন্তন বসুও।
শুধু এই রদবদলেই ক্ষান্ত হননি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বিশেষ করে বদল ঘটিয়েছেন রাজ্য বিজেপির মোর্চা গুলিতে। অর্থাৎ যুব সভাপতি, মহিলা নেত্রী, এস ও এসটি এবং সংখ্যালঘু মোর্চার পদে বদল ঘটিয়ে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন বর্তমান রাজ্য সভাপতি। বুধবার সকালেই মুখবন্ধ খামে নতুন মোর্চ সভাপতিদের ও মুখপাত্র, মিডিয়া পার্সন, কোষাধ্যক্ষ সহ ৭২ জনের নাম দিল্লিতে পাঠান সুকান্ত মজুমদার। যাতে গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে বিকেলেই সেই মুখবন্ধ খাম ফেরত পাঠিয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। আর সেই খাম খুলতেই দেখা গিয়েছে যুব সভাপতির পদ থেকে সরেছেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও মহিলা মোর্চার সভাপতি অগ্নিমিত্রা পাল। সৌমিত্র খাঁয়ের জায়গায় নতুন বিজেপি রাজ্য সভাপতি হয়েছেন চিকিৎসক ইন্দ্রনীল খাঁকে। মহিলা মোর্চা থেকে বিধায়ক অগ্নিমিত্রাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের জায়গায়। বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্রকে দেওয়া হয়েছে রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতির পদ। মহিলা মোর্চার নতুন সভানেত্রী হয়েছেন তনুজা চক্রবর্তী।
রদবদল ঘটানো হয়েছে অন্যান্য শাখা সংগঠনেও। রাজ্য বিজেপির এসসি মোর্চার দায়িত্বে আনা হয়েছে ডাঃ সুদীপ দাসকে। এই পদে আগে ছিলেন দুলাল বর। এসটি মোর্চার পদে সাংসদ খগেন মুর্মুকে সরিয়ে আনা হয়েছে আর এক সাংসদ জুয়েল মুর্মুকে। রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চায় আনা হয়েছে চার্লস নন্দিকে। এই পদে আগে ছিলেন আলি হুসেন। উল্লেখযোগ্য ভাবে রাজ্য বিজেপির সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সায়ন্তন বসুকে।