এই মুহূর্তে




আর জি কর হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে রক্তমাখা গ্লাভস, স্বাস্থ্যসচিবের নির্দেশে তদন্ত

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: রক্তমাখা গ্লাভস(Gloves with Blood-Stained) ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য আর জি কর হাসপাতালে(R G Kar Medical College and Hospital)। জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে(Trauma Care) এসেছে রক্তমাখা গ্লাভস! তা দিয়েই নাকি রোগী পরিষেবা দিতে হবে। কী ভাবে তা সম্ভব? ওই গ্লাভস পরে রোগীদের চিকিৎসা করা হলে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যাবে। জুনিয়র ডাক্তারদের(Junior Doctors) এই অভিযোগের জেরে গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব(Health Secretary) নারায়ণ স্বরূপ নিগম(Narayan Swarup Nigam)। সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরকে সেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে ওই রক্তমাখা গ্লাভসগুলি আলাদা করে সরিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, এর আগেও আর জি করে এই ধরনের অপরিষ্কার গ্লাভসের জোগান দেওয়া হত। সে সময়েও কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে লাভ হয়নি। মাঝে বেশ কিছু দিন নোংরা গ্লাভসের জোগান বন্ধ ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার আবার সেই সমস্যা দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন, দর্শনার্থীদের সঙ্গে চলবে না কোনও খারাপ ব্যবহার, বাহিনীকে কড়া বার্তা মনোজ ভার্মার

এদিন আর জি করে ট্রমা কেয়ার ইউনিটে এক রোগীর চিকিৎসার সময় এই রক্তমাখা গ্লাভস দেখতে পান এক ইন্টার্ন। তাঁর দাবি, হাসপাতালে এক জন এইচআইভি রোগী এসেছিলেন। তাই তাঁর রক্ত নেওয়ার জন্য তিনি গ্লাভস চেয়েছিলেন। প্যাকেট থেকে বার করা প্রথম গ্লাভসটাই ছিল নোংরা। ভেবেছিলেন, কেউ রাতে কাজ করে ভুলবশত নতুন গ্লাভসের সঙ্গে সেটি রেখে দিয়েছেন। তাই সেই গ্লাভস ফেলে অন্য গ্লাভস নেন তিনি। কিন্তু সেই নতুন গ্লাভস নিতে গিয়ে দেখেন সেটিও রক্তমাখা। শুধু তাই নয়, ওই প্যাকেটের প্রায় সব গ্লাভসেই একই সমস্যা রয়েছে। নার্সকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালেই সেই প্যাকেট খোলা হয়েছে। অর্থাৎ, রক্তমাখা গ্লাভসই হাসপাতালে এসেছে। গ্লাভসের প্যাকেটটি আপাতত আলাদা সরিয়ে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের সুপারকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, এই ধরনের নানা সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়েই তাঁরা আন্দোলন করছেন।

আরও পড়ুন, অনশন আন্দোলনের জেরে ক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের একাংশও, ট্যুইট কুণালেরও 

আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, রক্তমাখা গ্লাভস ব্যবহার করে রোগীর চিকিৎসা করতে হলে এইচআইভি, হেপাটাইটিসের মতো রক্তবাহী রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। রোগ যদি না-ও ছড়ায়, কোনও সাধারণ রোগী চাইবেন না, এই গ্লাভস দিয়ে তাঁর চিকিৎসা করা হোক। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, ‘সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। এই গ্লাভসগুলি আলাদা করে সরিয়ে রাখতেও বলা হয়েছে। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, আর জি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বিচার এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একাধিক বদলের দাবি জানিয়ে গত দু’মাস ধরে আন্দোলন করছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। পাঁচ দিন ধরে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছেন সাত ডাক্তার। তাঁদের যে ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন চলছে, তার মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণ। যে বিষয়ে সরকারের কোনও সাড়া এখনও মেলেনি।  




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

খুন বা ডাকাতি করে যে কেউ হয়ে যেতে পারেন অ্যাপ বাইক-ট্যাক্সি চালক

JMB’র মাধ্যমে বাংলার ৭ জেলায় Terror Network তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে ISI

অপেক্ষার আরও ১০ মাস, পূর্ণ পথে ছুটবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো

কালীপুজো-দীপাবলিতে সারা রাজ্যে ৪ হাজার কোটির বাজি বিক্রি

স্পষ্ট নয় শীতের আগমন, আগামী ৫ দিন কেমন থাকবে রাজ্যের আবহাওয়া!

কালীঘাট থেকে বোনের বাড়ি ঘুরে ‘নবনীড়’ বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে দিদাদের হাত থেকে ভাইফোঁটা নিলেন অরূপ বিশ্বাস

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর