নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও সংঘাত রাজ্য এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV ANANDA BOSE)। ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (BRATYA BASU) আবেদন জানালেন নবনিযুক্ত উপাচার্যদের প্রতি। আবেদন, নিয়োগপত্র ফেরানোর। উল্লেখ্য, আবেদনপত্র ইতিমধ্যেই ফিরিয়েছেন এক অধ্যাপক।
রাজ্যের মত না নিয়েই ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল। নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা মানেই তাতে সহমত হওয়া নয়। এর পাল্টা ট্যুইট করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে তিনি লেখেন, ‘বেআইনিভাবে নবনিযুক্ত মাননীয় উপাচার্যদের সকলকে উচ্চশিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে সসম্মান অনুরোধ থাকবে যে, তাঁরা যেন এই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেন’। তাঁর দাবি, রাজ্যকে এবং শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে একক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
ইতিমধ্যেই অনেকে উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে এক অধ্যাপক প্রত্যাখ্যান করেছেন রাজ্যপালের দেওয়া নিয়োগপত্র। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক সৌরেন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যাখ্যান করেছেন নিয়োগপত্র।
এই পরিস্থিতিতে দাবি উঠছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান করার। উল্লেখ্য, গত ১ জুন রাজ্যের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যহীন হয়। রাজ্যপালের কাছে রাজভবনের প্রস্তাব ছিল, অন্তর্বর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্যদের মেয়াদ বৃদ্ধির। উচ্চশিক্ষাদফতর সেই মতো সুপারিশ পাঠিয়েছিল। তা মানেননি রাজ্যপাল। অভিযোগ, তিনি ইচ্ছে মতো অধ্যাপক বেছে তাঁদের নিয়োগপত্র দিয়েছেন উপাচার্যপদে।