নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশ্য জনসভায় বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করে এসেছেন বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাত রয়েছে সিপিএম ও কংগ্রেসের। যা আরও একবার প্রমাণ করল কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ। গত মঙ্গলবার রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিএম নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে কেন্দ্র সরকার পদ্মভূষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও সেই সম্মান নেবেন না বলেই জানিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তা নিয়ে সমালোচনা ছুঁড়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগোবাংলা। এই পুরষ্কার আসলে সিপিএম ও বিজেপির আঁতাত’-এর ফল বলেই উল্লেখ করা হয়েছে জাগোবাংলায়।
তৃণমূলের মুখপত্রে লেখা হয়েছে, ‘মুখ্যমন্ত্রী বা সংস্কৃতিমন্ত্রী থাকাকালীন বিজেপির তৎকালীন হেভিওয়েট লালকৃষ্ণ আডবানীর সঙ্গে মধুর সম্পর্ক ছিল বুদ্ধদেবের। দিল্লি গিয়ে তিনি আডবানীর কাছে একের পর এক দাবি আদায় করে এনেছেন। আডবানীও প্রকাশ্যে বুদ্ধদেবের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন। শেষ ১০ বছরে সিপিএমের ভোট বিজেপিতে গিয়ে জড়ো হয়েছে। বুদ্ধবাবুকে সম্মান দিয়ে বিজেপি আসলে সিপিএম ভোটারদের ভোট অফ থাঙ্কস জানাল। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনে বুদ্ধবাবুর হাত রক্তাক্ত হয়েছিল। সেই মুখ্যমন্ত্রীকে পদ্মভূষণ দেওয়া মানে জমি আন্দোলনে সরকারি নিষ্পেষণকে স্বীকৃতি দেওয়া।’ এই পুরষ্কার আসলে সিপিএম ও বিজেপির ঘোঁট। এমনটাই দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের মুখপত্রে।
শুধুই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নয়, জাগোবাংলায় সমালোচনার আসনে বসানো হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংকে। দু’জন কংগ্রেস ও একজন সিপিএম, অঙ্ক স্পষ্ট বলে প্রতিবেদনে তোপ দাগা হয়েছে।