নিজস্ব প্রতিনিধি: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডিজেলের দাম। সেই চড়া দামের ডিজেল কিনে বাস চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বাস মালিকদের। সেই নিয়ে বারবার পরিবহণমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানালেও সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করেই বাস ভাড়া বাড়াই নি সরকার। বাস মালিকদেরে জন্যও ডিজেলের বিকল্প সিএনজি ব্যবহারে জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট নয় বাস মালিকরা। বুধবার ময়দানের টেন্টে পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ডাকা বৈঠকে বাস মালিক সংগঠনের তরফে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতে একগুচ্ছ আর্জি জানানো হয়েছে।
বাস মালিকরা জানিয়েছেন, ২০২২-এর ৩০ শে জুন পর্যন্ত ট্যাক্স সিএফ ফাইন মকুব করতে হবে। সমস্ত বাস মালিকদের ২-৪ লক্ষ টাকা ক্রেডিট কার্ড করতে হবে। কারণ অর্থের অভাবে অনেকেই গাড়ির কাগজ করতে পারছে না ও ইএমআই দিতেও পারছে না। ড্রাইভিং লাইসেন্স সহজ পদ্ধতিতে পিএসবি করা হোক, আর জি কর হাসপাতালের সামনে ভূগর্ভস্থ পথ নির্মাণ করা হোক। এতে ভিড় এড়ানো যাবে ও দুর্ঘটনা কমবে। পুরসভার হাতে থাকা পার্কিং এলাকা গুলি দ্রুত খালি করে বাস চলাচলে সুবিধা করা হোক, যাতে দুর্ঘটনা না হয়। গণপরিবহনে ২ বছর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হোক, করোনার জন্য। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সিএফ করাতে পারে সমস্ত গাড়ি এই ব্যবস্থা করা হোক। জেএনএনইউরামের আওতায় থাকা যারা বাস নিয়েছিল তাদের মধ্যে যারা ৫০ শতাংশ কিস্তি শোধ করেছে তাদের ছাড় দেওয়া হোক।
বুধবারের বৈঠকে পরিবহণমন্ত্রী বাস মালিকদের এই আর্জি মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু বাস ভাড়া না বাড়িয়ে রাজ্যের সাহায্য করা পদ্ধতিতে অর্থাৎ সিএনজিতে বাস চালানোর চিন্তাভাবনা করতেই বাস মালিক ও মিনি বাস সংগঠনের অনুরোধ করেছেন ফিরহাদ হাকিম।