নিজস্ব প্রতিনিধি: সোমবার থেকে শুরু হল দেশজুড়ে কোভিড ভ্যাক্সিনের তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়ার পালা। বাংলা ও কলকাতাতেও এদিন থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। টিকা দেওয়া হচ্ছে ষাঠোর্ধ্ব ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। টিকা দেওয়া হচ্ছে পুলিশকর্মী, ফ্রন্টলাইন কোভিড যোদ্ধা, চিকিৎসক ও নার্সদেরও। তবে এবারে কেন্দ্র সরকার জানিয়ে দিয়েছে বুস্টার ডোজ পেতে হলে কোউইন অ্যাপে আর নতুন করে নাম নথিভুক্ত করতে হবে না। তবে আগের দুটি ভ্যাক্সিনের সার্টিফিকেট টিকা নেওয়ার সময় অবশ্যই দেখাতে হবে। তবে কলকাতা পুরনিগমের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, টিকা নিতে ইচ্ছুক এবং যোগ্য ব্যক্তিদের নাম নথিভুক্ত করাতে হবে পুরনিগমের তরফে চালু করা নয়া পোর্টালে। যাঁরা এই বুস্টার ডোজ পাওয়ার যোগ্য কেবলমাত্র তাঁদের নামই পোর্টালে নথিভুক্ত করা যাবে। কলকাতার সব ভ্যাক্সিন সেন্টার থেকেই এদিন থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্র সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা ইতিমধ্যে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা সুস্থ হওয়ার তিন মাস পর বুস্টার ডো্জ পাবেন। কেন্দ্রের সেই নির্দেশিকা মেনেই কলকাতা পুরনিগমের তরফে জানানো হয়েছে যে, টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর ৯ মাস বা ৩৯ সপ্তাহ অতিক্রান্ত হলে তবেই মিলবে এই বুস্টার ডোজ। যিনি ডোজ নেবেন তিনি যদি প্রথম দুটি দফায় কোভিশিল্ড নিয়ে থাকেন তাহলে বুস্টার ডোজের সময়েও তাঁকে কোভিশিল্ডই নিতে হবে। কোভাক্সিন নিয়ে থাকলে নিতে হবে কোভাক্সিনই। তবে এবারে ককটেল ভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে না। বুস্টার ডোজ নেওয়ার সময়ে চিকিৎসকের কোনও অনুমতিপত্রও লাগবে না, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কলকাতা পুরনিগমের তরফে যে নতুন পোর্টাল চাল করা হয়েছে, সেখানে নাম নথিভুক্ত করালেই তাঁদের কাছে চলে যাবে এসএমএস যা পুরনিগমের স্বাস্থ্য দফতর থেকে পাঠানো হবে। সেই এসএমএসেই কবে কখন কোথায় টিকা নেওয়ার জন্য যেতে হবে তা বিষদে লেখা থাকবে। টিকা নিতে যাওয়ার সময় ভোটার কার্ড, আধার, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো কোনও একটি পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে।