এই মুহূর্তে




CAG’র রিপোর্টে নম্বর গরমিল ৪৬ হাজার প্রার্থীর, নিশানায় বুদ্ধ জমানা




নিজস্ব প্রতিনিধি: পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chattopadhay), অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mondol), কুন্তল ঘোষ(Kuntal Ghosh) না হয় ‘চোর’, বামেরা কী ধোয়া তুলসি পাতা? এই প্রশ্ন উঠে আসার নেপথ্যে উঠে এসেছে CAG’র এক রিপোর্ট যেখানে সাফ তুলে ধরা হয়েছে বাম জমানায় রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের(Teachers Recruitment) ঘটনায় ৪৬ হাজারেরও বেশি প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বরে বিস্তর গরমিল করে তাঁদের হাতে চাকরি তুলে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাটি ২০০৯ সালে যখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য(Buddhadeb Bhattacharya)। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম কাণ্ডে যার সাদা ধুতিতে রক্তের দাগ লেগেছিল। এবার তার পরণের সাদা পাঞ্জাবিতেও দুর্নীতির ছাপ পড়তে শুরু করে দিল।

আরও পড়ুন ডেঙ্গু মোকাবিলায় বৈঠক নবান্নে, জারি একগুচ্ছ নির্দেশিকা

এখন নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় বিরোধীরা এমন একটা ভাব দেখাচ্ছে যে এর আগে বাংলার বুকে এই ধরনের যেন কোনও দুর্নীতির ঘটনাই ঘটেনি। সবই হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায়। কিন্তু CAG’র রিপোর্ট বলে দিচ্ছে, বাংলার বুকে শিক্ষক পদে নিয়োগের দুর্নীতি আজকের ‘রোগ’ নয়, সেই বাম জমানা থেকেই তা চলে আসছে। বুদ্ধদেব ভট্টচার্যের আমলেও হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরে ব্যাপক গরমিল ঘটানো হয়েছিল। CAG বা ক্যাগের এক রিপোর্টে এই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শুধু ২০০৯ সালের সহকারি শিক্ষক নিয়োগের দশম RLST-তেই ৪৬ হাজার ৬৪৭ জন প্রার্থীর Academic Score বা শিক্ষাগত নম্বরে বিস্তর হেরফের ধরা পড়েছে CAG’র অডিটে। এঁদের মধ্যে ৩২ হাজার ৯৭০ জনের নম্বর বাড়ানো হয়েছিল। আর নম্বর কমানো হয়েছিল ১৩ হাজার ৬৭৭ জন প্রার্থীর। এমনকী, চূড়ান্ত মেধাতালিকায় থাকা ২ হাজার ৪৮৩ জনের প্রাপ্ত নম্বরেও গরমিল রয়েছে। তাঁদের সিংহভাগই বর্তমানে চাকরি করছেন।

আরও পড়ুন বেসরকারি হাসপাতালগুলির জন্য কড়া নিয়মাবলী আনছে মমতার সরকার

পাশাপাশি বাম আমলে হওয়া প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পর্যন্ত অনিয়মের ইঙ্গিত মিলছে সাম্প্রতিক তদন্তে। ২০০৯ সালে Region ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন বা SSC। CAG’র তথ্য বলছে, সেবার Eastern Region-এ ৬ হাজার ৪৯৩ জনের নম্বরে হেরফের করা হয়েছিল। Northern Region-এ সেই সংখ্যাটা ১১ হাজার ২১। Southern Region-এ ৮ হাজার ৩৪ জনের ক্ষেত্রে এই অসঙ্গতি মিলেছে। Western Region-এ ১২ হাজার ৫৫৩ জন প্রার্থীরই নম্বর বাড়ানো হয়েছিল। South Eastern Region-এ গরমিল ছিল ৮ হাজার ৫৪৬ জনের প্রাপ্ত নম্বরে। রিপোর্টে আরও দাবি, ২০০৯-১০ সালে স্বয়ংক্রিয় মূল্যায়নের জন্য একটি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল। এই খাতে প্রায় ৫ কোটি টাকা আর্থিক নয়ছয় হয়েছে। বাইরে থেকে তথ্যবিকৃতি হয়েছিল বলেও নিশ্চিত CAG।

আরও পড়ুন ৬৪২টি স্কুলের ১৭৩৩ জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে Show Cause

এই ঘটনা প্রসঙ্গে ২০১৭ সালে SSC অবশ্য জানায়, কম্পিউটারে তথ্য তোলার সময় ভুল করেছিলেন Data Entry Operator’রা। পরে তা সংশোধনের সময় শুধুমাত্র Academic Score পরিবর্তন করা হয়। CAG’র অবশ্য বক্তব্য, এ থেকে পরিষ্কার যে সেই সময় SSC এব্যাপারে নির্দিষ্ট নীতি প্রণয়নে ব্যর্থ হয়েছিল। এত খরচ করে বেসরকারি সংস্থাটিকে দিয়ে তৈরি সেই স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তিও কাজে আসেনি। শুধু সহকারি নয়, প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও ব্যাপক গরমিলের উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সরকারকে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ক্যাগ। তাও অবশ্য নেওয়া হয়নি।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘কুলতলির ঘটনাতে তিন মাসের মধ্যে ফাঁসির অর্ডার হোক, সেটাই চাই’, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

পার্ক স্ট্রিট থানায় মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে শ্লীলতাহানি

সরলেন বাবুন, এলেন সুজিত, পুজোর আবহেই বদল Hockey Bengal-এ

‘কর্মবিরতি করলেন আবার ৩২ হাজার টাকা স্টাইপেন্ডও নিলেন’, ডাক্তারদের নিশানা কল্যাণের

অসুর হয়ে হাজির বৃষ্টি, হকার- ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

কোল্ড ড্রিঙ্কস অমলেট! পুজোর কলকাতা মাতাচ্ছে নতুন স্ট্রীট ফুড

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর