নিজস্ব প্রতিনিধি: একাধিক সূচ ফুটিয়ে শিশুকন্যাকে হত্যা করার ঘটনায় ফাঁসির সাজা রদ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৭ সালের ওই ঘটনায় পুরুলিয়া জেলা আদালত দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল। নিম্ন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দোষীরা। অবশেষে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল।
২০১৭ সালের জুলাই মাসেব পুরুলিয়ার এক শিশুকন্যার দেহের একাধিক জায়গায় সূচ ফুটিয়ে তাকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে তার মা ও মায়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলা গোস্বামী ও তার প্রেমিক সনাতন পরিকল্পনা করে শিশুটিকে খুন করে বলে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে। পুলিশের পেশ করা চার্জশিটের ভিত্তিতে এবং সাক্ষীদের বয়ানের ভিত্তিতে পুরুলিয়া জেলা আদালত দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয়। শিশুটির শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে সাতটি সুচ ফুটিতিয়ে দেওয়া হয়েছিল।তার পাঁজরে, তলপেটে ও যৌনাঙ্গে সুচ ফোটানো হয়েছিল। যার জেরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ন’দিনের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় সমাজের সর্বত্র তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন অনেকে।
পুরুলিয়া জেলা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মঙ্গলা গোস্বামী ও তার প্রেমিক সনাতন গোস্বামী। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দে-র ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। এদিন বিচারপতিরা দোষী মঙ্গলা এবং সনাতনের ফাঁসির সাজা রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তবে সেই সঙ্গে আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, দোষীরা জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আগামী ৩০ বছর পর্যন্ত জামিনের আবেদন করতে পারবেন না।