নিজস্ব প্রতিনিধি: ডিএ (DA)-সহ একাধিক দাবিতে কর্মবিরতিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রায় তিনশো কর্মচারী। বুধবার সকাল থেকে আদালতে এই কর্মবিরতির জেরে ভোগান্তির মুখে পড়েন সাধারণ মানুষ।
মহার্ঘভাতা-সহ একাধিক দাবিতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের কর্মচারীদের পাঁচটি সংস্থার প্রায় ৩০০ কর্মী এই বিক্ষোভে সামিল হন। কর্মচারীরা কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েন আদালতে বিচারের জন্য আসা বহু সাধারণ মানুষ। এদিন হাইকোর্টের বি গেটে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন কর্মচারীদের ৬টি সংগঠনের মধ্যে ৫টি সংগঠনের কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, রাজ্য সরকার ন্যায্য মহার্ঘভাতা দিচ্ছে না। সরকারের নতুন পে কমিশন অনুযায়ী কর্মীরা বেতনও পাচ্ছেন না। আর তাই এই সমস্ত দাবি নিয়ে অবস্থানে বসেছেন তাঁরা। এদিন আদালতের কর্মচারীরা কর্মবিরতির ডাক দেওয়ায় বিচারপতিরাও অনেকে এজলাসে বসেননি। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব-সহ অন্য কয়েক জন বিচারপতির বেঞ্চ এদিন আদালতে বসলেও বেশির ভাগ মামলার শুনানি মুলতুবি হয়ে যায়।
আদালত সূত্রের খবর, গত সোমবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি (Justice JoymalyaBagchi) , বিচারপতি আই পি মুখোপাধ্যায় (Justice IP Mukherjee ) এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের (Justice Rai Chattopadhyay) সঙ্গে আদালতের কর্মচারী ইউনিয়নের বৈঠক হয়। কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা জানান, আগামী ২২ ডিসেম্বর ফের বৈঠক বসবে। সেই বৈঠকে সরকারের তরফে লিখিতভাবে জানাতে হবে কতদিনের মধ্যে কর্মচারীদের বকেয়া এরিয়ার এবং স্পেশ্যাল পে কমিশনের টাকা দেওয়া হবে। দাবি না মানা হলে আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত এর আগে ২০১১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের কর্মচারীরা একাধিক দাবিতে কর্মবিরতিতে নেমেছিলেন। সেই সময় প্রায় দশদিন টানা কর্মবিরতি চলেছিল।