শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার ছাড়পত্র দিল কলকাতা হাইকোর্ট
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: আদালতে মামলা ঠোকা হয়েছিল কোভিডকালে গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করার জন্য। মামলা ঠুকেছিলেন সেই মহান চেতনাসম্পন্ন মহাপুরুষ যিনি দুর্গাপুজো বন্ধ করতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠুকেছিলেন। সেই মামলাতে তাঁর হয়ে আবার লড়াই করতে নেমেছিলেন রাজ্যের আরেক মহাপুরুষ যিনি রাজ্যসভার সাংসদ এবং কলকাতারই প্রাক্তন মজানাগরিক। সেই মামলায় তাঁরা জিতেও যান। আর বাঙালির মুখের ওপরে আদালত পুজোর দিনে পুজোমণ্ডপে ঢোকার রাস্তাই বন্ধ করে দেন। সেই জয়ে উৎসাহী হয়ে এবার মামলাকারী অজয় কুমার দে ফের মামলা ঠুকেছিলেন গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করার জন্য। কিন্তু এদিন আর তাঁর অভিপ্রায় পূর্ণ করার পথে হাঁটা দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। বরঞ্চ গঙ্গাসাগর মেলার জন্য রাজ্য সরকারের আয়োজন দেখে তাতে সন্তুষ্ট হয়েই শর্তসাপেক্ষে মেলা আয়োজনের ছাড়পত্র দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো রাজ্য সরকারও। একই সঙ্গে পূণ্যার্থীদের মধ্যেও খুশির রেশ ছড়িয়ে পড়ল।
কলকাতা হাইকোর্টে মেলা বন্ধ করার অভিপ্রায় নিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন অজয় কুমার দে। একই সঙ্গে তাঁর আর্জি ছিল বাবুঘাট ও গঙ্গাসাগর এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করুক আদালত। কিন্তু গত সপ্তাহে সরকারি ভাবে মেলা শুরুর আগে এই মামলার শুনানির সময়ে বিচারপতির বেশ কিছু মন্তব্যে এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল মেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে আদালত হয়তো রাজ্য সরকারের ওপর কিছু শর্ত চাপাতে পারে। কিন্তু মেল্কা বন্ধ করার পথে হাঁটবে না হাইকোর্ট। সেটা আরও পরিষ্কার হয়ে যায় হাইকোর্ট এই মামলার রায় কার্যত মকরসংক্রান্তির একদিন আগে দেবে বলে জানাবার পরে। কারন মেলা বন্ধ করতে হলে মকরসংক্রান্তির অনেক আগেই তা দিতে হত হাইকোর্টকে। কিন্তু রাজ্যের শীর্ষ আদালত সেই রাস্তায় হাঁটেনি দেখে রাজ্য সরকারও সরকারি ভাবে গত সপ্তাহের শেষ দিকে মেলা চালু করে দেয়। আর এদিন তো মেলার অনুমতি দিয়েই দিল হাইকোর্ট। ফলে মামলাকারীর মুখ পুড়লো, একই সঙ্গে তিনি যে উচ্চআদালতে গিয়ে আপিল করবেন তেমন সময়ও আর হাতে রইল না। সব দিক দিয়েই মেলা বন্ধ করার প্রয়াস ধাক্কা খেল।
এদিন আদালতে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তার রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয়েছেন বিচারপতি। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু সাগরের জল বহমান, তাই ড্রপলেটের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা তুলনায় অনেকটাই কম। তারই পরিপ্রেক্ষিতেই শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলায় ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। হাইকোর্ট জানিয়েছে, মেলার ছাড়পত্র দেওয়া হলেও পূণ্যার্থীদের ই-স্নানের উপর জোর দিতে হবে। ই-স্নানের কিট বিনামূল্যে দিতে হবে। হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রেও ন্যূনতম টাকা নিতে হবে। বেশি সংখ্যক পুণ্যার্থী যাতে একসঙ্গে জলে না নামতে পারেন, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। আদালতের এই রায়ে খুশি অগণিত পুণ্যার্থীও। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, করোনা ভাইরাস মানুষের মুখ ও নাক নিঃসৃত ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়। অনেক মানুষ একসঙ্গে স্নান করতে সাগরে নামলে নাক ও মুখ নিঃসৃত ড্রপলেট সহজেই জলে মিশে যাবে। আর তার ফলে একসঙ্গে বহু মানুষ সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। তাছাড়া বাতাসেও ড্রপলেট ছড়াতে পারে। কিন্তু যেহেতু সাগরের জল বহমান। তাই ড্রপলেটের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা তুলনায় অনেকটাই কম। তবে রাজ্য সরকারকে এবার ই-স্নানের উপর বেশি করে জোর দিতে হবে। যাঁরা সাগরে পৌঁছেও ই-স্নান করবেন তাঁদের বিনামূল্যে কিট দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। যাঁরা বাড়িতে বসে ই-স্নানের কিট নিতে আগ্রহী তাঁদের থেকে শুধুমাত্র পরিবহণ খরচ ছাড়া অন্য কোনও টাকা নেওয়া যাবে না। অতিরিক্ত সংখ্যক পুণ্যার্থী যাতে একসঙ্গে জলে না নামতে পারেন, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। এছাড়াও সকলে করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি আদৌ মানছেন কিনা, সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।
কলকাতা হাইকোর্টে মেলা বন্ধ করার অভিপ্রায় নিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন অজয় কুমার দে। একই সঙ্গে তাঁর আর্জি ছিল বাবুঘাট ও গঙ্গাসাগর এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করুক আদালত। কিন্তু গত সপ্তাহে সরকারি ভাবে মেলা শুরুর আগে এই মামলার শুনানির সময়ে বিচারপতির বেশ কিছু মন্তব্যে এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল মেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে আদালত হয়তো রাজ্য সরকারের ওপর কিছু শর্ত চাপাতে পারে। কিন্তু মেল্কা বন্ধ করার পথে হাঁটবে না হাইকোর্ট। সেটা আরও পরিষ্কার হয়ে যায় হাইকোর্ট এই মামলার রায় কার্যত মকরসংক্রান্তির একদিন আগে দেবে বলে জানাবার পরে। কারন মেলা বন্ধ করতে হলে মকরসংক্রান্তির অনেক আগেই তা দিতে হত হাইকোর্টকে। কিন্তু রাজ্যের শীর্ষ আদালত সেই রাস্তায় হাঁটেনি দেখে রাজ্য সরকারও সরকারি ভাবে গত সপ্তাহের শেষ দিকে মেলা চালু করে দেয়। আর এদিন তো মেলার অনুমতি দিয়েই দিল হাইকোর্ট। ফলে মামলাকারীর মুখ পুড়লো, একই সঙ্গে তিনি যে উচ্চআদালতে গিয়ে আপিল করবেন তেমন সময়ও আর হাতে রইল না। সব দিক দিয়েই মেলা বন্ধ করার প্রয়াস ধাক্কা খেল।
এদিন আদালতে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তার রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয়েছেন বিচারপতি। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু সাগরের জল বহমান, তাই ড্রপলেটের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা তুলনায় অনেকটাই কম। তারই পরিপ্রেক্ষিতেই শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলায় ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। হাইকোর্ট জানিয়েছে, মেলার ছাড়পত্র দেওয়া হলেও পূণ্যার্থীদের ই-স্নানের উপর জোর দিতে হবে। ই-স্নানের কিট বিনামূল্যে দিতে হবে। হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রেও ন্যূনতম টাকা নিতে হবে। বেশি সংখ্যক পুণ্যার্থী যাতে একসঙ্গে জলে না নামতে পারেন, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। আদালতের এই রায়ে খুশি অগণিত পুণ্যার্থীও। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, করোনা ভাইরাস মানুষের মুখ ও নাক নিঃসৃত ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়। অনেক মানুষ একসঙ্গে স্নান করতে সাগরে নামলে নাক ও মুখ নিঃসৃত ড্রপলেট সহজেই জলে মিশে যাবে। আর তার ফলে একসঙ্গে বহু মানুষ সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। তাছাড়া বাতাসেও ড্রপলেট ছড়াতে পারে। কিন্তু যেহেতু সাগরের জল বহমান। তাই ড্রপলেটের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা তুলনায় অনেকটাই কম। তবে রাজ্য সরকারকে এবার ই-স্নানের উপর বেশি করে জোর দিতে হবে। যাঁরা সাগরে পৌঁছেও ই-স্নান করবেন তাঁদের বিনামূল্যে কিট দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। যাঁরা বাড়িতে বসে ই-স্নানের কিট নিতে আগ্রহী তাঁদের থেকে শুধুমাত্র পরিবহণ খরচ ছাড়া অন্য কোনও টাকা নেওয়া যাবে না। অতিরিক্ত সংখ্যক পুণ্যার্থী যাতে একসঙ্গে জলে না নামতে পারেন, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। এছাড়াও সকলে করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি আদৌ মানছেন কিনা, সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।
More News:
26th January 2021
26th January 2021
26th January 2021
বাংলার সাত পদ্মভূষণ এল একুশের প্রজাতন্ত্রে! ট্যুইট শুভেচ্ছা রাজ্যপালের
26th January 2021
25th January 2021
25th January 2021
25th January 2021
25th January 2021
24th January 2021
Leave A Comment