নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘বিরোধী দলনেতার পদ ক্যাবিনেট মন্ত্রী পদমর্যাদার সমতুল্য। রাজ্যের উচিত এই পদকে সম্মান দেওয়া।’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা নিয়ে দায়ের হওয়া মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। একই সঙ্গে শুভেন্দুর নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য সরকারের কী অবস্থান তা জানতে চাইলেন বিচারপতি। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিনই এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে শুভেন্দুর নিরাপত্তা নিয়ে যা জানাবার সেটা জানাতে হবে।
শুভেন্দু অধিকারীর তরফে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হয়েছিল মামলা। সেই মামলায় দাবি করা হয় রাজ্য সরকার তাঁর নিরাপত্তা বিষয়টি ঠিকভাবে দেখছে না। তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি শহরে অধিকারীদের যে বাড়ি রয়েছে, সেই ‘শান্তিকুঞ্জ’র নিরাপররা সব থেকে বেশি বিঘ্নিত হচ্ছে। সেখানে এমন ভাবে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে যা বাড়িতে কখন কে আসছে তার সব ফুটেজ ধরা পড়লেও বাড়ির সামনে থেকে বাড়ি লক্ষ্য করে কেউ কিছু ছুঁড়লে তা ধরা পড়ছে না। একই সঙ্গে ওই বাড়ির সামনে বা আশেপাশে যেমন তীব্রস্বরে মাইক লাগিয়ে সভা করা হচ্ছে তেমনি বাড়ির আশেপাশে হাজারো সভা থেকে শুরু করে বাড়ির সামনে দিয়ে অবাদে মিছিল করার অনুমতিও স্থানীয় প্রশাসনের তরফে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এতেই বিঘ্নিত হচ্ছে ‘শান্তিকুঞ্জ’র নিরাপত্তা।
এদিন আদালত এই মামলার শুনানিতে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে শান্তিকুঞ্জের সামনে বা আশেপাশে রাত ৮টার পরে যেমন আর মাইক বাজানো যাবে না তেমনি বাড়ির সামনে কোথায় সিসিটিভি বসাতে হবে সেটা ওই বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করতে হবে। একই সঙ্গে ওই বাড়ির সামনে দিয়ে যাতে আর মিছিল না যায় বা বাড়ির সামনে যাতে আর সভা না হয় সেটা স্থানীয় প্রশাসনকে দেখতে হবে। তবে ঘটনা হচ্ছে এটাই যে, কলকাতা হাইকোর্ট শুভেন্দুকে যতই রক্ষাকবচ দিক না কেন, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ঘেরাটোপে থেকে শুভেন্দু নিজে বা অধিকারীরা কতদিন রাজ্য রাজনীতিতে তাঁদের গুরুত্ব ধরে রাখতে পারবেন তা নিয়ে রীতিমত সন্দেহ রয়েছে।