নিজস্ব প্রতিনিধি: শহর কলকাতা(Kolkata) সহ রাজ্যের বড় বড় শহরগুলিতে থাকা সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলিতে(Bengali Medium School) হু হু করে কমছে পড়ুয়াদের সংখ্যা। কেননা সেই সব এলাকার বাসিন্দারা ছেলেমেয়েদের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে(English Medium School) পড়াতে পছন্দ করছেন। কিন্তু যে হাতে সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা কমছে, সেই হারে কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকা(Teachers) কমছে না। বরঞ্চ দেখা যাচ্ছে পড়ুয়া কম, শিক্ষক-শিক্ষিকা উদ্বৃত্ত। এর ঠিক উল্টো ছবি গ্রামের বুকে। সেখানে সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়ুয়া বাড়ছে ক্রমশ, কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকার বিস্তর অভাব। এই ছবিতে বদল ঘটাতেই রাজ্য সরকার চালু করে বদলির নীতি(Transfer Policy)। কম সংখ্যক পড়ুয়াদের স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি করা হবে বেশি সংখ্যক পড়ুয়াদের স্কুলে। সেই নীতির বিরুদ্ধে গুচ্ছের মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court)। কিন্তু এবার রাজ্যের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, পড়ুয়াদের স্বার্থে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই বদলি নীতি মেনে নিতেই হবে। নির্দেশ না মানলে চাকরি জীবনে ছেদ পড়বে। সোমবার কড়া ভাষায় এমনটাই জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন গঙ্গা ভাঙন রোধে আগ্রহ দেখাল World Bank ও ADB
এতদিন শিক্ষকদের বদলির জন্য রাজ্য সরকারের উৎসশ্রী পোর্টালে আবেদন করতে হতো। তাতে বিস্তর সমস্যা ছিল। সমস্যা সমাধানে কয়েকদিন আগে রাজ্যকে বদলি নীতি তৈরি করতে বলে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নয়া নিয়ম নিয়েই শিক্ষকদের একাংশের মধ্যে উষ্মা তৈরি হয়েছে। এনিয়ে মামলা করেন শর্মিষ্ঠা চন্দ্র সহ কয়েকজন শিক্ষক। সেই মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ, বদলির নতুন নিয়ম নিয়ে প্রচুর মামলা দায়ের হয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের বদলি নীতি মানতেই হবে। তবে ওই নীতিতে কোথাও ত্রুটি রয়েছে কি না, সেটাও দেখা হবে। পরের শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল উপস্থিত থেকে বিষয়টি জানাবেন।
আরও পড়ুন পিংলার পটচিত্রে উঠে এল মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানান, ‘ছাত্র এবং শিক্ষকের অনুপাত সঠিক করার জন্যই নতুন বদলির নিয়ম আনা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা নিয়ে আদালত চিন্তিত। যে সব স্কুলে ছাত্র বেশি এবং শিক্ষক কম, সেখানে বদলি করলে যেতেই হবে। অন্য চাকরির ক্ষেত্রে বদলি নিয়ে সমস্যা হয় না। শুধু শিক্ষকরা কেন সুবিধামতো জায়গায় চাকরি করবেন? যেখানে ছাত্র থাকবে, সেখানে শিক্ষকদের যেতেই হবে।’