এই মুহূর্তে




সাজ্জাকের ‘এনকাউন্টারে’ মৃত্যু নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের




নিজস্ব প্রতিনিধি: আদালত থেকে জেলে ফেরার পথে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাজ্জাক আলম নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ জানুয়ারী) সকালে চোপড়া সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টার সময়ে পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত হন মামলার বিচারাধীন সাজ্জাক। অভিযোগ, সাজ্জাক বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, তাঁকে আটকাতে গিয়েই পুলিশ গুলি চালায়। এবার বন্দি সাজ্জাক আলমের ‘এনকাউন্টারে’ মৃত্যু নিয়ে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতে মামলাটি করেছেন আইনজীবী তাপস ভঞ্জ।

সোমবার (২০ জানুয়ারী) এই ঘটনায় মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এনকাউন্টারে পলাতক আসামি সাজ্জাকের গায়ে তিনটি গুলি লেগেছিল। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। চিকি‍ৎসকদের মতে, অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গুলি লেগেছিল তাঁর বাঁ কাঁধে, পিঠে এবং পায়ে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৮ টা ৫ মিনিট নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। এবার এনকাউন্টারে সাজ্জাকের মৃত্যু নিয়ে জল গড়াল হাইকোর্ট পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, খুনের মামলায় বিচারাধীন ছিলেন সাজ্জাক। গত বুধবার সাজ্জাককে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে জেলে ফেরার পথেই আচমকা পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যান সাজ্জাক।

যাতে গুরুতর জখম হন দু’জন পুলিশকর্মী। এরপর শনিবার ভোরে চোপড়ার বাংলাদেশ সীমান্তে তাঁকে ধরে ফেলে এবং পুলিশ এনকাউন্টার করে। রাজ্য পুলিশের কাছে আগেই খবর ছিল, সাজ্জাক বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করছেন। সেই অনুযায়ী তাঁকে চোপড়া সীমান্ত ধরা হয়। কিন্তু পুলিশকে লক্ষ্য করে সাজ্জাক গুলি ছুড়লে পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। এরপরেই নিহত হন সাজ্জাক। হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে গেলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় জখম দুই পুলিশকর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই বিষয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার জানান, পুলিশের উপর হামলা বরদাস্ত করা হবে না। কেউ পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে পুলিশও পাল্টা গুলি চালাবে। আর তার মন্তব্যেই সাজ্জাককে ‘এনকাউন্টার’-এর যোগ পেয়েছেন অনেকে। এরপরেই সাজ্জাকের এনকাউন্টার নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হল। উল্লেখ্য, করণদিঘি থানার ছোটসোহার গ্রামের বাসিন্দা সাজ্জাক। ২০১৯ সালে দুর্গাপুজোর নবমীর দিন সুরেশ দাস নামে একজনকে খুন করেন সাজ্জাক। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, ছোট থেকেই নানা অপরাধমূলক কাজে পাকাপোক্ত ছিলেন তিনি। তবে ২০১৯ সালে সুরেশ দাসকে হত্যার ঘটনার আগেই সাজ্জাককে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন স্থানীয়েরা।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জামতারা গ্যাংকে নিধনে রাজ্য পুলিশ গঠন করল অপারেশন সার্ভার ‘শক্তি’

মাত্র ১ টাকায় চিকেন বার্গার! খেতে হলে আসুন এখানে

বিএসএফের পোশাক পড়ে পাচার করতে গিয়ে মালদা সীমান্তে গ্রেফতার ৩ পাচারকারী

জোরপূর্বক চিকিৎসা করাতে আসা শিশু কন্যার বমি পরিষ্কার করানো হল তার বাবাকে

নারকেলডাঙার তৃণমূল কাউন্সিলরকে শোকজ করে ৫ দিনের মধ্যে জবাব চাইল নেতৃত্ব

ভোটার তালিকা তৈরিতে অনলাইনের নামে জালিয়াতির শঙ্কা, রুখতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর