নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা জেরা করা হল শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। শনিবার এই জেরার পর ফের নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। এর আগে শুক্রবার দীর্ঘ সাড়ে ৯ ঘণ্টা তাঁকে ম্যারাথন জেরা করে সিবিআই (CBI)। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার তাঁকে ৩ ঘণ্টা জেরা করা হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই নিয়ে ৩ বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তাঁকে। এসএসসি শিক্ষক- শিক্ষিকা নিয়োগ দূর্নীতি মামলাতে তাঁকে তলব করা হচ্ছে।
শনিবার নিজাম প্যালেসে ফের হাজিরা দেন পরেশ অধিকারী। তাঁকে প্রায় ৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী কী ভাবে নিয়োগপত্র পেলেন? এর পেছনে কার অদৃশ্য হাত রয়েছে? তাঁর অব্দান কী? এই দিন নথিও জমা দেন পরেশ। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা জেরা শেষে তিনি ফিরে আসেন এমএলএ হোস্টেলে (MLA HOSTEL)।
প্রাক্তন সিবিআই কর্তাদের একাংশ বলছেন, আদালতের কাছে যখন সমস্ত নথি তখন কেন তাড়াতাড়ি সূত্র পাচ্ছে না সিবিআই? বারবার জেরা করতে হচ্ছে কেন এত দীর্ঘ সময় ধরে। আবার রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের দাবি, অপরাধ করলে নিশয়ই শাস্তি পাওয়া উচিত তবে বারবার তলব হেনস্থা। নিজাম প্যালেস থেকে বেরোলেই আবার তলব। উল্লেখ্য, তৃণমূল বারবার দাবি করেছে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্র তার বিরোধী দল ও নেতৃত্বদের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে হেনস্থা করছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বয়ানের সঙ্গে তথ্যপ্রমাণ মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। আর এই কারণেই তলব করা হচ্ছে বারবার।
বগটুই- ধর্ষণ- ঝালদা- এসএসসি সহ একাধিক মামলার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তবে একাংশের দাবি, সিবিআইয়ের রাজ্য দফতরে কর্মী কম, কম আধিকারিক। তদন্ত প্রক্রিয়া দীর্ঘ হয় এতেই। ফলে সময় লেগে যায় দীর্ঘ। উল্লেখ্য, নোবেল চুরির তদন্তে নেমে তার কিনারা করতে পারেনি সিবিআই। মাঝে আদালতে জানিয়েছিল সূত্র পেয়েছে কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ে তদন্তে নেমেও উদ্ধার হয়নি নোবেল ও হারিয়ে যাওয়া বহু মূল্যের সম্পত্তি। এরপর এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বলে, কোনও সূত্র মিলছে না। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন জানানো হয়, ফাইল ক্লোজ করার। তারপর বন্ধ হয়ে যায় তদন্ত। এই নিয়েও সরব হয়েছে বিরোধীরা।
একাংশের দাবি, কম আধিকারিক ও কম কর্মী থাকা সত্ত্বেও পরপর তদন্তভার গ্রহণ করছে সিবিআই। তবে সব কিছুর কিনারা হবে কবে? কবে শেষ হবে জিজ্ঞাসাবাদ সহ তদন্ত প্রক্রিয়া? কবে প্রকাশ্যে আসবে দুর্নীতির নেপথ্যে কারণ? কারণ যেখানে আদালতের কাছে এত তথ্য, সেখানে এত সময় লাগার কথা নয়, বলেই অনুমান বিরাট অংশের মানুষের।