নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা টেট (TET) এ দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন এক চাকরিপ্রার্থী। এবার সেই চাকরিপ্রার্থীকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। রবিবার নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয় মমলাকারী চাকরিপ্রার্থী সৌমেন নন্দীকে। সূত্রের খবর তাঁর বয়ান রেকর্ড করতেই এদিন তাঁকে সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে।
২০১৪ সালে প্রাইমারি টেট- পরীক্ষা আয়োজিত হয়েছিল। সেই বছর টেট-এ বসেছিলেন চাকরিপ্রার্থী সৌমেন নন্দী। কিন্তু পরীক্ষায় বসলেও ফল প্রকাশের পর তিনি জানতে পারেন পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন। ফলে চাকরি পাননি। তাঁর সঙ্গে সেই বছর টেট পরীক্ষায় বসা আরও বহু চাকরিপ্রার্থী অকৃতকার্য হন। কিন্তু সৌমেন জানতে পারেন অকৃতকার্য হওয়া চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ৬৮ জন চাকরি পেয়েছেন। তার মধ্যে পাপিয়া মুখোপাধ্যায় নামে এক পরীক্ষার্থী ছিলেন। এরপরই আরটিআই(RTI) করে তিনি ওই ৬৮ জনের তথ্য জানতে চান। পরে এমন আরও ১৮ জনের কথা জানতে পারেন সৌমেন।
সৌমেনের অভিযোগ, ওই চাকরিপ্রার্থীরা টেটে ফেল করেও চাকরি পেয়েছেন। এ নিয়ে তথ্য জানতে চেয়ে আরটিআই (RTI) করলেও কোনও জবাব মেলেনি। প্রাইমারি শিক্ষা বোর্ডের তরফে কোনো তথ্য জানানো হয়নি বলে ওই চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ। এর পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এর পর তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার সেই মামলায় বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য মামলাকারী সৌমেন নন্দীকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সিবিআই। সেই তলবের প্রেক্ষিতে মামলাকারী তাঁর আইনজীবী ফিরদৌস শামিমকে সঙ্গে নিয়ে এবং বেশকিছু নথিপত্র নিয়ে এদিন সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে হাজির হন। সৌমেনের আইনজীবী ফিরদৌসের দাবি, পাপিয়া মুখোপাধ্যায় নামে ওই মহিলা রঞ্জন ওরফে চন্দন মন্ডলের মাধ্যমেই চাকরি পেয়েছেন। উল্লেখ্য রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, সেই ভাইরাল ভিডিয়োতে এই চন্দন মণ্ডলের নাম রয়েছে। যে কি না টাকার বিনিময়ে বহু চাকরিপ্রার্থীকে চাকরি দিয়েছিলেন বলে ভিডিওতে দাবি করেন প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস।