নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আচমকাই নেতাজি আবেগে গা ভাসাতে থাকে বিজেপি নেতৃত্ব। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিরাট প্রচার করা হয়। আচমকাই নেতাজি ভক্তি জেগে ওঠে গোডসে ভক্তদের মনে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বিরোধে গিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিবসকে ‘পরাক্রম দিবস’ হিসেবে নাম দেয় মোদি-শাহের সরকার। ঘোষণা করা হয়, নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ কমিটি গড়া হবে যারা সারাবছর ধরে নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গে মুখ থুবড়ে পড়ে বিজেপি। আর তখনই নেতাজি প্রীতি চলে যায়। কিন্তু সরকারি ভাবে তৈরি করা কমিটি নিয়ে কোনও কাজ কেন হল না? এবার প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা তথা নেতাজির পরিবারের সদস্য চন্দ্র বসু। মঙ্গলবার টুইট করে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছেন, ‘নেতাজির ১২৫ তম জন্মদিবস সংক্রান্ত যে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গড়া হয়েছে তার কাজ কী? এতদিন হয়ে গেলেও সেই কমিটি একবারের জন্য আলোচনা বসল না কেন? ভার্চুয়ালি বসতেই পারত।’
https://t.co/4dllJoDOaZ
What was the idea of forming this High level committee,Chaired by Hon’ble PM-Shri @narendramodi ji to plan for #125thbirthanniversary of #NetajiSubhasChandraBose, if the Committee couldn’t meet even once? A virtual Meet could have easily been organized!— Chandra Kumar Bose (@Chandrakbose) November 23, 2021
বিজেপি নেতা চন্দ্র বসু’র এই বক্তব্যতেই একাধিক প্রশ্নের মুখে বিজেপি নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহলের ধারণা শুধুমাত্র বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের জন্যই নেতাজি প্রীতি দেখিয়েছিল বিজেপি। চন্দ্র বসুর টুইটকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে আক্রমণ করেছে তৃণমূলও। চলতি বছরের শুরুতেই কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিবসে একগুচ্ছ কর্মসূচী নিয়ে এসেছিলেরন প্রধানমন্ত্রী। তখনই এই উচ্চপর্যায়ের কমিটি গড়া হয়। কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল এই কমিটি সারাবছরই নেতাজির জন্মদিন সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আলোচনা ও অনুষ্ঠান করবে। কিন্তু দীর্ঘ মাস কেটে গেলেও নীরব রয়েছে সেই কমিটি। আর সেই নিস্তব্ধতা নিয়েই টুইটারে প্রশ্ন তুলেছেন চন্দ্র বসু।
কেন্দ্রের গড়া উচ্চপর্যায়ের কমিটিতে চন্দ্র বসু ছাড়াও নেতাজির পরিবারের বাকি সদস্য সহ ১০ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এ আর রহমান, শুভেন্দু অধিকারী ও মিঠুন চক্রবর্তীকে রাখা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ মাস কাটলেও কেন্দ্রের তরফে এই কমিটিকে দিয়ে কোনও পদক্ষেপ নিতে বা অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয় নি। সেই বিষয়েই প্রশ্ন তুলেছেন চন্দ্র বসু।