নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। বাংলায় জ্যোতিষিগিরি না করে শুভেন্দুকে বিহারে যাওয়ার পরামর্শ তৃণমূল নেত্রীর। মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, ডিসেম্বর মাসে বর্তমান রাজ্য সরকার আর কার্যত থাকবে না। বিরোধী দলনেতার দাবি, ২০২৪ সালে বিধানসভা ও লোকসভার নির্বাচন একসঙ্গে হবে। দেখতে থাকুন। শুভেন্দুর এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
মঙ্গলবার রাজ্যের শাসকদলের নেত্রী তথা মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য শুভেন্দু অধিকারীর ওই মন্তব্য নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করেন। এদিনই চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘এখানে বিরোধী দলনেতা কী বলছেন, কী ধরনের জ্যোতিষী জানি না। ওঁকে বিহারে নিয়ে যেতে পারত। উনি তো বিহারটা সামলে দিতে পারতেন? উনি যত কম কথা বলেন ততই ওঁর পক্ষে ভালো, দলের পক্ষেও ভালো।’ প্রসঙ্গত বিহারে বিজেপির এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ। বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ করে আবার নতুন করে সরকার গঠনের পথে নীতীশ কুমার ও লালু যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব। আরজেডি, জেডি(ইউ),কংগ্রেস মিলে নতুন সরকার গড়তে চলেছে বিহারে। যা বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা। এমতাবস্থায় শুভেন্দু অধিকারীর বাংলা নিয়ে ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কটাক্ষ ছুড়ে দেন তাঁকে।
প্রসঙ্গত বিহার বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ২৪৩। বর্তমানে একটি আসন শূন্য রয়েছে। সরকার গড়তে গেলে প্রয়োজন ১২২ জন বিধায়কের সমর্থন। মঙ্গলবার নীতীশ কুমার রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর রাজনৈতিক মহল মনে করছে বিজেপি বিরোধী বিধায়কদের মধ্যে ১৬৩ জনের সমর্থন পেতে চলেছেন নীতীশ। অর্থাৎ বিহারে বিজেপি বিরোধী নতুন সরকার গড়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।