এই মুহূর্তে




‘আমি নির্দোষ’, দাবি সঞ্জয়ের, তবুও চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শেষ

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার(Kolkata) আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে(R G Kar Medical College and Hospital) চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায়(Doctor Rape and Murder Case) কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে(Sanjay Rai)। পরে এই ঘটনার তদন্তের ভার কলকাতা হাইকোর্ট তুলে দেয় সিবিআইয়ের হাতে। যদিও তাতে বিশেষ কিছুই লাভ হয়নি। কেননা কলকাতা পুলিশ যা ২৪ ঘন্টার মধ্যে করে দেখাতে পেরেছিল, সেটা গত আড়াই মাসেও করে দেখাতে পারেনি এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তাঁরা আর কোনও অভিযুক্তকেই ধরতে পারেনি। এমনকি এমন কোনও প্রমাণ সামনে আসেনি বা তাঁরা আনতে পারেননি যে এই ঘটনায় সঞ্জয় ভিন্ন বা সঞ্জয়া ছাড়াও আর কেউ জড়িত আছে। সেই সঞ্জয়ের বিরুদ্ধেই এদিন চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শেষ(Charge Formation Process Complete) হল শিয়ালদা আদালতে(Sealdah Civil and Criminal Court)। সেই চার্জে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে সঞ্জয়কেই তুলে ধরা হয়েছে। যদিও এদিন সঞ্জয় দাবি করেছে সে নির্দোষ। তাঁকে নাকি ফাঁসানো হয়েছে।

আরও পড়ুন, মমতার শিশুসাথী প্রাণ বাঁচাল ৯ বছরের শিশুর, হার্টে ছিল ফুটো

গত ৯ অগস্ট আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলায় সেমিনার হল থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে সেই রাতেই কলকাতা পুলিশের ফোর্থ ব্যাটালিয়নের ব্যারাক থেকে গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয়কে। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে কলকাতা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করলেও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পরে সেই মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। মূল ঘটনার ৫৮ দিন পর গত ৭ অক্টোবর সিবিআই এই মামলায় প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছিল। চার্জশিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছিল, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারই যে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় জড়িত, তার একাধিক প্রমাণ পেয়েছেন তাঁরা। সংগৃহীত বয়ান, ভিডিয়ো এবং ফরেন্সিক বা সায়েন্টিফিক রিপোর্টের ভিত্তিতে ধৃতের বিরুদ্ধে মোট ১১টি ‘প্রমাণ’-এর উল্লেখ ছিল সেই চার্জশিটে। এদিন শিয়ালদা কোর্টে ছিল মামলার চার্জ গঠনের পালা। চার্জশিট পেশের ২৮ দিনের মাথায় ওই মামলায় চার্জ গঠন সম্পন্ন হয়েছে এদিন। এর পর শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া। আদালতে জানানো হয়েছে, আগামী ১১ নভেম্বর থেকে ওই মামলায় শুনানি শুরু হতে চলেছে। শুনানি চলবে রোজ।

আরও পড়ুন, খুন বা ডাকাতি করে যে কেউ হয়ে যেতে পারেন অ্যাপ বাইক-ট্যাক্সি চালক

এরই মাঝে এদিন নিজেকে নির্দোষ হিসাবে দাবি করেছে সঞ্জয়। যা কিছুটা হলেও নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিন দুপুর ২টোর কিছু আগে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে শিয়ালদা কোর্টে নিয়ে আসা হয় সঞ্জয়কে। কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীর মধ্যে তাকে তোলা হয় বিচারকের এজলাসে। যদিও আদালত চত্বর ছাড়ার সময়ে সঞ্জয় চেঁচিয়ে প্রিজন ভ্যান থেকেই সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য ছুঁড়ে দেয়। সঞ্জয়ে জানায়, ‘আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি এত দিন চুপচাপ ছিলাম। আমাকে ডিপার্টমেন্ট চুপ থাকতে বলেছে। আমি কিন্তু রেপ অ্যান্ড মার্ডার করিনি। আমার কথা কেউ শুনছে না। সরকারই আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমায় সব জায়গায় ভয় দেখাচ্ছে। যে তুমি কিছু বলবে না, তুমি কিছু বলবে না। আমার ডিপার্টমেন্টও আমায় ভয় দেখিয়েছে। আমি কিন্তু নির্দোষ।’ আদালত সূত্রে খবর, বিচারকের সামনেও সঞ্জয় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছে। যদিও তাতে বিশেষ কিছু লাভ হয়নি। দেখার বিষয় আদালত এই ঘটনায় সঞ্জয়ের কোন শাস্তি ধার্য করে। ফাঁসি নাকি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

গাড়ি থেকে কালো ধোঁয়া ছাড়লে হতে পারেন গ্রেফতার, নয়া ফরমান জারি

বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব ইস্টবেঙ্গল, অবিলম্বে নিধন যজ্ঞ বন্ধের দাবি

ডিভিসির জন্য ২০ লক্ষ পরিবার জল পাচ্ছে না, অভিযোগ মমতার

টেন্ডার দুর্নীতিতে চলত বড়সড় ষড়যন্ত্র, আরজিকর মামলায় দাবি সিবিআইয়ের!

নজরে ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন, তৃণমূলের বিধায়কদের একগুচ্ছ দাওয়াই মমতার

বাংলাদেশে শান্তি সেনা মোতায়েনের দাবি জানানোয় মমতাকে হুমকি মোল্লা ইউনূসের উপদেষ্টার

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর