নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যজুড়ে মহাসমারোহে পালন করা হচ্ছে ছট পুজো। পরিবেশ আদালতের রায়ে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে বন্ধ রয়েছে পুজোর আচার পালন। কিন্তু কলকাতা পুরসভার তরফে একগুচ্ছ ঘাট তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। কলকাতায় তক্তাঘাট ও দইঘাটে ছটপুজোর প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে সকলকে সাবধানতা অবলম্বন করতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা বিধি মেনে ধীরে ধীরে ও সাবধানে ছট পুজো পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘যারা রাস্তায় নেমে ছট পালন করছেন এবাং যারা ঘরে থেকে তা পালন করছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন। কোভিড বিধি মেনে আজ ও কাল ছট পুজোয় সবাই অংশ নিন। সাবধানে ঘাটে যান পুজো দিন। সুস্থ থাকুন, শান্তিতে পুজো করুন। গঙ্গা মায়ের আরাধনা করুন। গঙ্গা মা সবার কল্যাণ করুন। সবাইকে ছট পুজো শুভকামনা জানাচ্ছি। পুলিসকে বলেছি সবাইকে সতর্ক করুন। হেস্টিংয়ে যেমন মাইকিং করা হচ্ছে গঙ্গার সব ঘাটে যেন তা করা হয়। সবাইকে বলুন, শান্তিতে পুজো করুন। ছট পুজোয় এলে ভালো লাগে। তাই প্রতি বছরই আসি।’
ছট পুজো উপলক্ষ্যে রাজ্যে দুদিন রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তাই সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠান পালনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দইঘাটে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাদবপুরের যখন সাংসদ ছিলাম তখন থেকে এখানে আসি। আগে এইসব ঘাট অন্ধকার ছিল। ঘাট বাঁধানো ছিল না। সেই ঘাট বাঁধানো হয়েছে। আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুজোর জন্য যেসব ব্যবস্থা করা প্রয়োজন তা করার চেষ্টা করেছি। দুর্গাপুজো, ইদের মতো ছট পুজোও একটি বড় উত্সব। এই উপলক্ষ্যে ২ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। গঙ্গা সাগরেও মানুষের সুবিধের জন্য অনেক কিছুই করা হয়েছে। মানুষের ভালো করার নামে জিনিসের দাম বাড়ানো নয়, নোটবন্দি নয়। আমাদের তো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করতে হবে, মানুষকে বিনা পয়সায় চিকিত্সা দিতে হবে। আমাদের একটাই লক্ষ্য মানুষকে খুশি দেখা। তাই ছট পুজোয় খুশি থাকুন। তাড়হুড়ো করবেন না। দেবী মা আপনাদের ইচ্ছে পূরণ করুন।’
রবীন্দ্র সরোবরে কেউ যাতে প্রবেশ না করতে পারে কড়া নিরাপত্তা রয়েছে পুলিশের। পরিবেশ আদালতের নিয়ম মেনেই চলছে পুলিশের টহলদারি। তবে ছট পুজো উপলক্ষ্যে প্রচুর ঘাট তৈরি করেছে কলকাতা পুরসভা। পুজোর জন্য তৈরি রাখা হয়েছে শহরের ১৩২টি ঘাট ও ৩৬টি কৃত্তিম জলাশয়। বুধবার বিকেল চারটে থেকে বৃহস্পতিবার বেলা বারোটা পর্যন্ত বন্ধ থাকছে চক্ররেল পরিষেবা।