নিজস্ব প্রতিনিধি: পর পর দু’টি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। ক্রমশ নিম্নচাপে পরিণত হবে সেগুলি। প্রথমটি রবিবার ওড়িশা উপকূলে এবং দ্বিতীয় বাংলার উপকূলে ঝরে পড়বে। এমনীতেই লাগাতার বৃষ্টির জেরে এখনও ভাসছে দক্ষিণবঙ্গ, তার ওপর জোড়া ঘূর্ণাবর্তে জেরে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েইছে। এই পরিস্থিতিতে আজ, শনিবার দক্ষিণবঙ্গের প্রত্যেক জেলাশাসকদের নিয়ে বিকেল চারটে নাগাদ মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী বৈঠক ডেকেছেন। ওই বৈঠকে থাকবেন কলকাতার পুর-কমিশনারও।
বর্ষার মাঝে বঙ্গোপসাগরে বা আরব সাগর কিংবা ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম হয় না। কিন্তু এখন প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় সেই নিয়ম ভাঙতে বসেছে। তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হচ্ছে। উপকূলে আছড়ে পড়ার পর নিম্নচাপে পরিণত হবে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এই প্রথম দুর্যোগের অভিমুখ ওড়িশা উপকূল। তবে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকা তথা দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই হবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি। একইসঙ্গে মঙ্গলবার রাতেও ফের একটা ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে। সেটিও ক্রমশ নিম্নচাপে পরিণত হবে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্যোগ ধেয়ে এলে তা ঠেকানোর কোনও উপায় নেই। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ রাজ্য।
জোড়া ঘূর্ণাবর্তের আগে কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হবে, তা ঠিক করতেই শনিবার বিকেল চারটের সময় বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, হাওড়া ও হুগলির জেলাশাসকদের পাশাপাশি কলকাতার পুর-কমিশনারও থাকবেন। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, ঝড়খালি, পাথরপ্রতিমা, সাগর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা উপকূলে মাইকিং শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন। জারি করা হয়েছে সতর্কতা। নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজনদের অন্যত্র ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যাতে সু-পরিকল্পিতভাবে দুর্যোগ সামাল দেওয়া যায়, তার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিতেই এদিনের বৈঠক বলে নবান্ন সূত্রে খবর।