নিজস্ব প্রতিনিধি: সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের (Lalan Shaikh) মৃত্যুর (Death) তদন্তে এবার সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) সিবিআইয়ের (CBI) অফিসে নোটিস পাঠাল রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি (CID)। নোটিস পাঠিয়ে দুই সিবিআই আধিকারিককে তলব করেছে সিআইডি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের।
উল্লেখ্য সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে নামে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। এর আগে সিবিআই-কে চিঠি দিয়ে সিআইডি জানতে চেয়েছিল লালন শেখের মৃত্যু কী ভাবে হয়েছে, সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা কী ছিল, সে বিষয়ে। শুধু চিঠি পাঠানো নয় বকটুই গ্রামে মৃত লালন শেখের শ্বশুরবাড়িতে সিআইডি’র (CID)-র পাঁচ সদস্যের দল যায় তদন্তে। ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিল ৪ আধিকারিক ও ১ জন ফটোগ্রাফার। রাজ্যের গোয়েন্দারা লালন শেখের পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন। এবার দুই সিবিআই আধিকারিককে তলব করল সিআইডি।
প্রসঙ্গত গত ১২ ডিসেম্বর রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পের শৌচালয় থেকে গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পর লালনের পরিবারের তরফে তাঁকে খুন করার অভিযোগ তোলা হয় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, লালন শেখ আত্মহত্যা করেছেন। রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লালনের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। উল্লেখ্য লালন শেখ বকটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত। গত বছর ২১ মার্চ রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বীরভূমের রামপুরহাট এলাকার বকটুই গ্রামের বাসিন্দা তথা বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেসের উপ-প্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই রাতেই বকটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। কম করে নয় জনের মৃত্যু হয় সেই অগ্নিকাণ্ডে। সেই ঘটনায় আদালতের নির্দেশে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সিবিআই এই ঘটনায় যে চার্জশিট জমা দেয় সেখানে লালন শেখের নাম ছিল। গত ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখে লালন শেখকে ঝাড়খন্ড থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গ্রেফতারের পর সিবিআই হেফাজতে ছিল অভিযুক্ত।