নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি জেলে পাঠিয়েছিল সুব্রত দা’কে’। তিনি অসম্মানিত বোধ করেছিলেন। খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। ‘সুব্রত দা ববিকে বলেছিলেন আমাকে একটা বন্দুক দে আর দু’টো গুলি দে। একটা দিয়ে নিজেকে গুলি করব। আরেকটা দিয়ে যারা অসম্মান করেছে তাঁদের শেষ করব। বিশ্বাস কর এই অপমান মেনে নিতে পারছি না’। মঙ্গলবার একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবে দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে এভাবেই প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (SUBRATA MUKHERJEE) প্রসঙ্গ টেনে আবেগপ্রবণ হয়ে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE)।
মঙ্গলবার দিন তিনি বলেন, ‘সুব্রত দা’র মতো এখনও আমাদের অনেককে অপমানিত হতে হচ্ছে’। আরও বলেন, ‘পুজোর সময় রাজনৈতিক কোনও কথা বলব না। খালি মায়ের কাছে প্রার্থনা করি, মা সকলের মঙ্গল করো’। দেবীর কাছে তাঁর প্রার্থনা, ‘সব দুষ্ট চক্রের চক্রান্তের বিনাশ ঘটাও’।
এদিন তিনি বলেন, তাঁকে ববি জানিয়েছেন যে, আলিপুর জেলে সুব্রত মুখোপাধ্যায় থাকার সময় বুকের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলেন, বমি করেছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে অনুরোধ করেছিলেন ববি। তবে তিনি ভর্তি হতে চাননি। বলেছিলেন, ‘মেনে নিতে পারছি না’। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁর নামেও কেস করা হচ্ছে। তিনি সহ সকলেই অপমানিত বোধ করছেন।
প্রতি বছর একডালিয়ার পুজো (PUJA) উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছরেও তাঁর পাশে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন ‘সুব্রত দা’। সেই পুজো আছে। থিমের ভিড়ে আজও উজ্জ্বল হয়ে আছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সাবেকী পুজো। শুধু নেই তিনি। তবে মণ্ডপ জুড়ে তাঁর বিভিন্ন ছবি আছে। দেবীর পায়ের কাছে তাঁরই ছবি। এখানে বসেই সঙ্কল্প করতেন রাজ্যের মন্ত্রী। এবারেও তাঁর নামেই হবে সঙ্কল্প।