এই মুহূর্তে

ঝঞ্ঝার হাত ধরে চলবে বৃষ্টি! মকরে মিলবে না শীত

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাত পোহালেই মকরসংক্রান্তি। অথচ গায়ে গরম জামাটুকুও রাখা দায় হয়ে পড়েছে। সোয়েটার, শাল, জ্যাকেট, মাফলার এসব তো গায়ে চড়ানোই যাচ্ছে না। বাঙালি শেষ কবে এহেন উষ্ণ মকরসংক্রান্তি পেয়েছে সেটাই এখন রীতিমত গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর বৃহস্পতিবার সকালে জানিয়ে দিয়েছে, এদিন দিনভর দক্ষিণবঙ্গের সব জকেলাতেই দফায় দফায় বৃষ্টি হবে। তার জেরে সকালের দিকে কিছুটা জোলো ঠাণ্ডা থাকলেও রাতে বেশ গরমই লাগবে। চালাতে হতে পারে পাখাও। আর তাই আগামিকাল ভোরে মকর স্নানের সময় ঠাণ্ডা সেভাবে থাকবে না। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, রবিবার পর্যন্ত এই বৃষ্টিস্নাত আবহাওয়া চলবে। তারপর রোদ উঠলে মিলতে পারে শীত। মানে বাংলার বুকে জাঁকিয়ে শীতের ওম মিলতে পারে ৬-৭দিন বাদ থেকে।

মকরসংক্রান্তি মানেই জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা। সঙ্গে বঙ্গে দোসর পিঠেপুলি। কিন্তু এবারেও ঘরে ঘরে পিঠেপুলির আয়োজন হলেও শীতের দেখা আর মিলছে না। উল্টে আকাশ কালো করে ঘনাচ্ছে মেঘ। রীতিমত বজ্রবিদ্যুতের সঙ্গে ঝরছে বৃষ্টি। থেকে থেকে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে নামছে শিলাবৃষ্টিও। স্বাভাবিক ভাবেই বৃষ্টির এহেন দাপটে বাংলা থেকেই কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছেন মিস্টার উইন্টার। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টি হবে। তবে তাঁরা আশাও জুগিয়েছেন। জানিয়েছেন, মেঘ-বৃষ্টি বিদায় নিলেই রাজ্য জুড়ে ফের নামবে পারদ। শেষ পৌষে না হোক, মাঘের শুরুতে মিলবে শীতের আমেজ। বৃহস্পতিবার ভোরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই এদিন দফায় দফায় মিলবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। কিছু কিছু এলাকায় ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকছে।

রবিবার থেকে রাজ্যের বেশির ভাগ জেলায় আবার মিলবে শুকনো আবহাওয়া। উত্তরবঙ্গে শুক্রবার থেকেই পারদের পতন শুরু হবে। গাঙ্গেয় বঙ্গে রাতের তাপমাত্রা নামতে শুরু করবে রবিবার থেকে। মূলত উত্তরপশ্চিম ভারত থেকে বয়ে আসা একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরেই বঙ্গে মকরকালে এই ঝড়বৃষ্টির যুগলবন্দী চোখে পড়ছে। সেই সঙ্গে মুখ থুবড়ে পড়েছে শীত। রোদের বদলে আকাশ মেঘলা হয়ে রয়েছে আর এই সব কিছুর দৌলতেই তরতরিয়ে বেড়েছে রাতের তাপমাত্রা। বৃষ্টি হওয়ায় দিনের বেলায় স্যাঁতস্যাঁতে ঠান্ডা লাগলেও, চরিত্রগত ভাবে তা চেনা শীতের থেকে একদমই আলাদা। তবে এদিন থেকেই বৃষ্টির পরিমাণ কমতে শুরু করবে। উত্তরের জেলাগুলিতে আগামিকাল ভোর থেকেই হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার দেখা মিলবে।

এ প্রসঙ্গে আলিপুরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও একটু কম। কোথাও একটু বেশি। কিছু কিছু জায়গায় শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। শীতের আবহে এইরকম দু’ থেকে তিন দিন টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে এমন নজির খুবই কম। কিন্তু, এবারে একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসছে। যার জন্য শীত ব্যাহত হচ্ছে। সংক্রান্তির সময় যে ঠান্ডা আমরা পাই, সেই ঠান্ডা এবার পাচ্ছি না। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমী জেলাগুলিতে বৃষ্টি একটু বেশি হওয়ার সম্ভাবনা। অর্থাৎ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। পাহাড়ে অর্থাৎ দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে শিলাবৃষ্টির পাশাপাশি হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে আবারও পারদপতন শুরু হবে। কিন্তু, তারপর আবারও দুটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলত এখনই জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা নেই।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

পাহাড়পুরে বাড়ি ভাঙার কাজ স্থগিত ,আদালতে গেলেন বাড়ির মালিক

কপালে স্টিকিং প্লাস্টার নিয়ে ইফতারে হাজির মমতা

রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে অলোক সিনহা

ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য ছুটি পাবেন তো অফিস থেকে, জারি হয়ে গেল বিজ্ঞপ্তি

সিপিএমের হয়ে প্রচার নয়, কংগ্রেস নেতার নির্দেশ ঘিরে শোরগোল

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর