নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৯ ডিসেম্বর পুরভোট কার্যত অসম্ভব, তবুও আগাম প্রস্তুতি সেরে রাখছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর সেই মর্মে সোমবার কমিশনের অফিসে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়। সোমবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়া পুরভোট নিয়ে হলফনামা দেওয়া হয়। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতায় ৮৫ শতাংশ টিকাকরণ সম্পন্ন ও হাওড়ায় ৫৫ শতাংশ টিকা দেওয়া হয়েছে তাই আগে এই দুই পুরসভায় ভোট করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বাকি পুরসভায় টিকাকরণের হার ৫০ শতাংশে নেই তাই দেরীতে হবে।
যদিও সর্বদল বৈঠকে কমিশনের এই দাবির বিরোধিতা করে বিজেপি, সিপিএম সহ বিরোধী দলগুলি। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন ভোট হয় নি কীভাবে আসন বন্টন হবে? লোকসংখ্যা বেড়েছে। এছাড়াও বালি ও হাওড়া পুরসভা আলাদা দিনে ভোট কেন? রাজ্যের তরফে হাওড়া ও কলকাতা পুরসভার ভোটে কোনও আপত্তি নেই বলে জানানো হয়েছে। তবে দু’দফাতেই পুরভোট সম্পন্ন করতে চায় রাজ্য। হাওড়া ও কলকাতা দুই যমজ শহরে একদিনে ও বাকি পুরসভায় আলাদা দিনেই ভোট করাতে চায় রাজ্যের শাসকদল। অপরদিকে আগে হাওড়া ও কলকাতা পুরসভায় ভোট করাতে নারাজ রাজ্যের বিরোধী দলেরা। সমস্ত পুরসভাতেই একসঙ্গে ভোট করাতে চায় তারা।
আগামী ১৯ ডিসেম্বর পুরভোটের প্রস্তুতি নিলেও তা কার্যত অসম্ভব। কারণ বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর যে সময় ভোটের জন্য দেওয়া উচিত তা নেই আর। এদিকে বিজেপির করা পুরভোট নিয়ে মামলার শুনানি শেষ না হলে নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগের শুনানিতেই কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী। এখন এটাই দেখার আইনি জট কাটিয়ে ও বিরোধীদের দাবি মেনে কবে হয় পুরভোট।