এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মমতায় মান্যতা কংগ্রেসের, লড়বে ২৫০ আসনে

কৌশিক দে সরকার: রাহুল গান্ধির(Rahul Gandhi) রাজনৈতিক জীবন নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। যত দিন যাচ্ছে ততই তাঁর ২০২৪ সালের নির্বাচনে লড়াই করার সম্ভাবনা কমছে। একই সঙ্গে কংগ্রেসের(INC) নেতৃত্ব বিজেপি(BJP) বিরুদ্ধে সার্বিক জোট দেশজুড়ে গড়ে ওঠার সম্ভাবনাও ক্রমশ কমছে। কংগ্রেস বুঝতে পারছে, আঞ্চলিক দলগুলি এবার আর যাই হোক কংগ্রেসের সব কথা মুখ বুজে মেনে নেবে না। কংগ্রেসের নেতৃত্বও তাঁরা মেনে নেবে না। খব জোর নীতীশ কুমারের JD(U), হেমন্ত সোরেনের JMM, এম কে স্ট্যালিনের DMK আর বামেরা তাঁদের সঙ্গে জোট গড়ে লড়তে পারে। কিন্তু তাতে কংগ্রেসের ভাগ্যে ৫০টা আসনও লড়াই করার জন্য জুটবে না। তাই শেষমেষ কিছুটা পরিস্থিতির চাপে পড়েই কংগ্রেস বাধ্য হল বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) মান্যতা দিতে। মমতার ‘একের বিরুদ্ধে এক’ ফর্মুলাকে মান্যতা দিয়ে ২০২৪’র ভোটে ২৫০ আসনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলেই সূত্রে জানা গিয়েছে।   

আরও পড়ুন এ কী হাল বিজেপি! প্রশ্নের মুখে সুকান্ত-শুভেন্দু

কংগ্রেস নেতৃত্ব দেরীতে হলেও এটা বুঝেছেন যে, আর যাই হোক রাহুল ২৪’র ভোটে সম্ভবত প্রার্থী হতে পারবেন না। সেই সঙ্গে তাঁরা এটাও বুঝেছেন যে কংগ্রেস এখন আর নেতৃত্বদানের মতো জায়গায় দাঁড়িয়ে নেই। একার জোরে সরকার গড়া তো দূর অস্ত, বেশি ‘দাদাগিরি’ দেখাতে গেলে যে কপালে ৫০টা আসনও জুটবে না সেটাও তাঁরা এখন বেশ ভালই বুঝেছেন। তাই কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন UPA-কে ফের জাগিয়ে তোলার জায়গায় সোনিয়া গান্ধির(Sonia Gandhi) দল এখন গুরুত্ব দিচ্ছেন মমতার দেখানো রাস্তাকেই। লক্ষ্য একটাই, মোদি সরকারকে হটানো। তাই যাবতীয় ‘ইগো’ ভুলে জোটের স্বার্থে ‘দাদাগিরি’ সুলভ মনোভাব থেকে পিছু হটে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা ঠিক করেছেন ২০২৪’র ভোটে দেশের ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে ২০০ থেকে ২৫০টি কেন্দ্রে। বাকিগুলি আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে সমঝোতার প্রেক্ষিতে ছেড়ে দেওয়া হবে। অর্থাৎ, যে আসনে তৃণমূল কংগ্রেস শক্তিশালী, সেখানে কংগ্রেস নিজেদের প্রার্থী দিয়ে ভোটে ভাগ বসাবে না। সেক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী ভোটের সবটাই আসবে একছাতার তলায়। অর্থাৎ মহাজোটের ঝুলিতে। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফর্মুলা।

আরও পড়ুন সুন্দরবনের বাঘ নিয়ে নয়া লড়াইয়ে মমতা ও মোদির সরকার

দেশে এখন রাজস্থান, ছত্তিশগড়, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যগুলিতে কংগ্রেস ও বিজেপির মুখোমুখি লড়াই হয়। সেখানে আর কোনও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল নেই। সেই হিসাবে এই ৬টি রাজ্যের ১০০টি আসনে কংগ্রেস একাই বিজেপি বিরুদ্ধে লড়াই করবে। সেখানে আর কোনও আঞ্চলিক দল কংগ্রেসের ভোটে ভাগ বসাতে যাবে না। গেলেও সেভাবে প্রভাব ফেলার মতো অবস্থা নেই তাঁদের। এই ১০০টি আসন থেকে কংগ্রেস কটি আসন বার করতে পারবে সেটাই কার্যত ঠিক করে দেবে ২০২৪’র ভোটে তাঁদের ভূমিকা ঠিক কী হবে কেন্দ্রে সরকার গড়ার জন্য। যদিও দলের তরফে টার্গেট রাখা হচ্ছে অন্তত ১২০টি আসন জেতার জন্য সারা দেশ থেকে। এর মধ্যে ৫০টি আসন টার্গেট করা হচ্ছে এই ৬টি রাজ্য থেকে। যদিও অনেকেই মনে করছেন, এই ৬টি রাজ্য থেকে কংগ্রেস মেরেকেটে ৩০টি আসন পাবে। তার বেশি নয়। সেই হিসাব কংগ্রেসের মাথাতেও আছে। তাই বাকি ৯০টি আসনে জেতার জন্য তাঁদের আঞ্চলিক দলগুলির ওপরেই ভরসা করতে হবে আর সেটা তাঁদের না চটিয়ে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফর্মুলাকে মান্যতা দেওয়া ছাড়া কংগ্রেসের সামনে বিকল্প কোনও পথই খোলা নেই।

আরও পড়ুন ১০০ দিনের কাজের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ন্যায়পালদের নির্দেশ

সেই কারণেই ঠিক করা হয়েছে, যে ৬টি রাজ্যে কংগ্রেস ও বিজেপির সন্মুখ সমর হতে চলেছে সেখানেই আপাতত দল শক্তি বৃদ্ধিতে নজর দেবে। যেখানে আঞ্চলিক দলগুলি শক্তিশালী সেখানে হয় কংগ্রেস প্রার্থী দেবে না নতুবা আঞ্চলিক দলের সঙ্গে কথা বলে কিছু আসনে প্রার্থী দেবে বা জোট গড়ে লড়াই করবে। ইতিমধ্যে অখিলেশ যাদব, নীতীশ কুমাররা মমতার রণনীতিকে সামনে রেখেই বিজেপি তথা মোদি বিরোধী জোট গড়তে শুরু করে দিয়েছেন। সেই জোট কংগ্রেসকে আসন ছাড়ার জোট নয়, বরঞ্চ যে রাজ্যে যে বিজেপি বিরোধী দল শক্তিশালী সেখানে তাঁর নেতৃত্বেই জোট গড়ার কাজ করা হবে। আসন বন্টনও হবে সেই রাজ্যের রাজনীতিতে ওই দলগুলির ক্ষমতার ভিত্তিতে। মোদি সরকার বিরোধী এই যুদ্ধে কংগ্রেস যদি অন্য পথে হাঁটে, তাহলে দেশবাসীর কাছে ভুল বার্তা যাবে। ভোটের মুখে সেটাই চান না সোনিয়া গান্ধি। তাই তাঁর নির্দেশেই হয়তো কংগ্রেসের তরফে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলার কাজ শুরু হতে চলেছে দ্রুত।

আরও পড়ুন চলতি বছরেই SSC, কয়েক হাজার Group-D পদে হবে নিয়োগ

যদিও বাংলায়(Bengal) কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে কোনও আসন সমঝোতা বা জোটের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তৃণমূল রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রেই যেমন প্রার্থী দেবে তেমনি কংগ্রেসও নিজ প্রভাব রয়েছে এমন আসনে প্রার্থী দেবে। যেমন প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ, উত্তর মালদা, দক্ষিণ মালদা, জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ, বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, বসিরহাট, বর্ধমান উত্তর-পূর্ব ও বীরভূম আসনে তাঁরা প্রার্থী দাঁড় করাবেন এটা মোটামুটি ঠিক হয়েই গিয়েছে। বাকি আসনগুলিতে তাঁরা বামেদের সমর্থন করতে পারেন। তবে আইএসএফ-কে কোনও আসনেই সমর্থন জানানো হবে না। তাই বাংলার বুকে বিজেপি বিরোধী লড়াইটাই হবে ২ ভাগে। একদিকে তৃণমূল লড়বে বিজেপির বিরুদ্ধে, অন্যদিকে বাম-কংগ্রেস জোট। দেখার বিষয় এটাই বিজেপি বিরোধী ভোট কার বাক্সে বেশি পড়ে। তৃণমূলের বাক্সে নাকি বাম-কংগ্রেসের বাক্সে। একই সঙ্গে এটাও দেখার যে বিজেপি উনিশের প্রধান্য ধরে রাখতে পারে কিনা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

উচ্চ মাধ্যমিকে ক্লাস শুরু কবে থেকে, জানাল শিক্ষা সংসদ

ভোটের আগে বিধায়কের পদে ইস্তফা রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর

গরম থেকে বাঁচতে ট্রাফিক পুলিশদের ‘সামার কিট’ বিলি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের

অসুস্থ মুকুল রায়, তড়িঘড়ি ভর্তি করানো হল বেসরকারি হাসপাতালে

সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম নয়, ঢেউচা-পাঁচামিই বাংলার ভবিষ্যত, নৈতিক জয় তৃণমূলের

শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা আবহাওয়া দফতরের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর