নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণের গ্রাফ। এই ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন রাজ্যের একাধিক চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। করোনার ছোবল খাচ্ছেন প্রশাসনিক কর্তা থেকে বিভিন্ন দফতরের অধিকর্তারা। গতকাল রাতেই স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী ও শিক্ষা-স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্যের করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। সঙ্গে স্বাস্থ্যভবনের আরও ৫০ জনের করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশনের ৮৭ জন করোনায় আক্রান্ত। মোট ১৩৫ জনের মধ্যে ৮৭ জনই করোনা আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে।
বুধবার রাতেই স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও শিক্ষা-স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্যের কোভিড পজিটিভের রিপোর্ট আসে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর আগেই মৃদু উপসর্গ ধরা পড়ে। কিন্তু র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে করোনা নেগেটিভ ধরা পড়ে। পরবর্তীতে আরটি-পিসিআর টেস্টে কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে অজয় চক্রবর্তীর। আপাতত হোম আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। তাঁর সর্দি ও কাশি সহ একাধিক উপসর্গ রয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের মূল প্রশাসনিক কার্যালয়ে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত হয়েছেনে অনেকেই। তাই চিন্তা বাড়ছে হু হু করে। শুধুই স্বাস্থ্য ভবন নয়, পাল্লা দিয়ে করোনা আক্রান্তের হার বাড়ছে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতালে।
চিকিৎসকদের চিন্তা, এইভাবে করোনা আক্রান্তের হার হু হু করে বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়ার আশঙ্কা। বৃহস্পতিবারই ফের উদ্বেগ বাড়িয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৯০ হাজার ৯২৮। একলাফে প্রায় ৫৭ শতাংশ বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বাড়ল প্রায় ৩৩ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছুঁইছুঁই।