নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। আর করোনার থাবায় জর্জরিত শহর থেকে জেলার মানুষ। এর মাঝেই কলকাতার একাধিক সরকারি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসকেরা। জানা গিয়েছে, রাজ্যের একমাত্র সরকারি চক্ষু হাসপাতালে করোনা বসিয়েছে থাবা। আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজি-র ১২ জন চিকিত্সক। এর ফলে চক্ষু চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য কর্তাদের।
অন্যদিকে এনআরএস হাসপাতালের ৭০ জন নার্স-চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আর এতে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। এর আগে আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে মোট করোনায় আক্রান্ত হন ২২ জন। সূত্রের খবর, আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের অধ্যাপক সহ একাধিক নার্সিং স্টাফ ও স্বাস্থ্য কর্মী কোভিডে আক্রান্ত হন। এর ফলে ডেন্টাল কলেজে পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এদিকে সোমবারই জানা গিয়েছে, নার্স-চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে নীলরতন সরকার হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ৭০ জন। কীভাবে বজায় থাকবে পরিষেবা। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরে শুরু হয়েছে বৈঠক। দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। চিন্তার কারণ, স্বাস্থ্য কর্মী ও চিকিৎসকদের শরীরে মারণ ভাইরাসের হানা নিয়ে।
কলকাতা মেডিক্যালে ৭ এবং এনআরএসে ১০ জন ইন্টার্ন ও চিকিত্সক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার কনট্যাক্ট ট্রেসিং বাড়াতে দৈনিক ৮০ হাজার নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।