নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গরু পাচার নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। তদন্ত নামে সিবিআই। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ চালায় বিভিন্ন ব্যক্তিদের। রাজনৈতিক স্বার্থে ক্রমশ ব্যবহার করা হচ্ছিল গরু পাচার চক্রকে। যা ভোট মিটতেই গতি হারায়। এরপর জেলেই দীর্ঘদিন ছিলেন গরু পাচারের মূল মাথা এনামুল। এই ঘটনায় একাধিক বিএসএফ আধিকারিক ও অন্যান্য ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে সিবিআই। কিন্তু তারাও পরবর্তীতে জামিন পেয়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন জেলেই ছিলেন এনামুল।
এর মাঝেই আসানসোলের স্পেশ্যাল আদালতে এনামুলের জেলে থাকার মেয়াদ বাড়ানো হয়। যার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যান এনামুল হক। আর সেখানেই শর্তসাপেক্ষ জামিন দেওয়া হয় এনামুলকে। ২০২০ সাল থেকে জেলে রয়েছে গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত এনামুল। ২০২১ সালে চার্জশিট ফাইল করা হয়। সেটাও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটে চক্রের মূল পাণ্ডা এনামুল হক, বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমার, গুলাম মুস্তফা ও আনারুল শেখ-সহ সাতজনের নাম ছিল। বন্ধ খামে বিচারক জয়শ্রী বন্দ্যোপাধায়ের এজলাসে অভিযোগপত্র পেশ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তার আগে থেকেই জেলে রয়েছেন ও সিবিআই-এর একাধিক জেরায় সমস্ত তথ্য জানিয়ে ছিলেন এনামুল, দাবি তাঁর আইনজীবীর। কিন্তু তারপরেই তদন্তের গতি না বাড়িয়ে শুধুমাত্র জেল বন্দি করে রাখাছিল এনামুলকে। তাই সিবিআই-এর স্পেশ্যাল আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে জামিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এনামুল। যার ভিত্তিতেই জামিন পান গরু পাচারকারী এনামুল।