এই মুহূর্তে




বেহালা থেকে পার্থকে হটাতে গিয়ে গলা ধাক্কা খেল বামেরা




নিজস্ব প্রতিনিধি: কী অবস্থা। গেল পার্থকে হটাতে, শেষে কিনা নিজেরাই গলা ধাক্কা খেয়ে ফিরে এল। দেখলেও হাসি পায়, শুনলেও হাসি পায়। এরাই ৩৪ বছর ধরে বাংলায় শাসন করেছে। আজ তাঁদের দূরাবস্থা যে ৩ লাখি বিধানসভা কেন্দ্রে ৫০০ ভোটও জমা পড়ে না তাঁদের বাক্সে। হায় সে সিপিএম(CPIM) আর কত হাস্য কৌতুকের পাত্র হবে! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জেলে রয়েছেন বেহালা পশ্চিম(Behala Paschim) কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক(TMC MLA) তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chattopadhay)। বামেদের অভিযোগ, বিধায়ক জেলবন্দী থাকায় এলাকার মানুষজন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই তাঁকে বিধায়ক পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। আর তার জন্য গত কাল অর্থাৎ রবিবার তাঁরা বেহালায় ‘গণভোটের’(Mass Election) ডাক দিয়েছিল দলের যুব সংগঠন DYFI’র মাধ্যমে। কিন্তু শেষমেষ হলতা কী? নাহ, ৩ লক্ষাধিক ভোটারের কেন্দ্রে বামেদের বাক্সে ৫০০ ভোটও পড়ল না। পড়েছে মাত্র ৪৬১টি ভোট। স্বাভাবিক ভাবেই যে শুনছে সেই হাসছে।

আরও পড়ুন মমতায় মান্যতা কংগ্রেসের, লড়বে ২৫০ আসনে

৩৪ বছরের বাম জমানার আগে থেকেই, বড় সময় জুড়ে বেহালা পশ্চিম ছিল সিপিএমের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি। ১৯৭৭ সালে এখান থেকে জিতেই জ্যোতি বসুর প্রথম সরকারে পরিবহণমন্ত্রী হয়েছিলেন রবীন মুখোপাধ্যায়। তার ১০ বছর আগে থেকেই এই কেন্দ্র সিপিএমের দখলে ছিল। ১৯৬৭ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ৯টি বিধানসভা ভোটের মধ্যে ৮টিতেই (১৯৭২ ছাড়া) সিপিএম জিতেছে। ২০০১ সালে পার্থই এই কেন্দ্রে সিপিএম বিধায়ক নির্মল মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে ঘাসফুল ফোটান। সেই থেকে টানা ৫ বার তিনিই বিধায়ক। তা৬কেই কিনা হটাতে গিয়ে সিপিএমের জুটল মাত্র ৪৬১টি ভোট। ভাবা যায়। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বেহালা পশ্চিমের ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ১৩ হাজার ৫ জন। সিপিএম প্রার্থী নিহার ভক্ত ৩ নম্বরে শেষ করেছিলেন। পেয়েছিলেন ৪৭ হাজার ৫০৯ ভোট। যা ছিল মোট প্রদত্ত ভোটের ২০.৪৯ শতাংশ। তবে ওই বছরই ডিসেম্বর মাসে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে বেহালা পশ্চিমের বেশির ভাগ ওয়ার্ডে বিজেপিকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিলেন সিপিএম প্রার্থীরা।

আরও পড়ুন এ কী হাল বিজেপি! প্রশ্নের মুখে সুকান্ত-শুভেন্দু

অর্থাৎ বেহালার বাম ভোটাররা গুটি গুটি পায়ে ফিরছেন লাল ঝান্ডার তলে। কিন্তু সেখানে তাঁদের অবস্থা এখনও এত ভাল হয়ে যায়নি যে বিনা ভোটেই তাঁরা এলাকার বিধায়কের বিধায়ক পদ কেড়ে নেবেন। বস্তুত এখন তো ‘গণভোট’র ডাক দিয়ে গণহারে গলা ধাক্কা খেয়ে কার্যত মুখ লুকিয়ে পালিয়ে বাঁচছেন লালপার্টির বড়, মেজ, সেজ নেতারা। আর ছোট নেতারাই মানছেন, ‘ভুল হয়েছে। এ ভাবে গণভোট শব্দটা ব্যবহার না করলেই বোধহয় ভাল হত। এর সঙ্গে ভোট পড়ার সংখ্যা দেখলে সত্যিই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। প্রতীকী ভোট বললেই ভাল হত।’ আরও মজার কথা, যারা ভোট দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে আবার ২৫ জন পার্থ’র বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফার দাবির বিরোধিতা করেছেন। ৬জন নিজের ভোট নিজেই নষ্ট করেছেন। মানে পার্থ’র বিরুদ্ধে আদতে ভোট পড়েছে ৪৬১’রও কম। মাত্র ৪৩০টি।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘কুলতলির ঘটনাতে তিন মাসের মধ্যে ফাঁসির অর্ডার হোক, সেটাই চাই’, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

পার্ক স্ট্রিট থানায় মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে শ্লীলতাহানি

সরলেন বাবুন, এলেন সুজিত, পুজোর আবহেই বদল Hockey Bengal-এ

‘কর্মবিরতি করলেন আবার ৩২ হাজার টাকা স্টাইপেন্ডও নিলেন’, ডাক্তারদের নিশানা কল্যাণের

অসুর হয়ে হাজির বৃষ্টি, হকার- ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

কোল্ড ড্রিঙ্কস অমলেট! পুজোর কলকাতা মাতাচ্ছে নতুন স্ট্রীট ফুড

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর