নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রয়াত হলেন বর্ষীয়াণ সিপিআইএম নেতা মৃদুল দে (Mridul Dey)। দীর্ঘদিন ধরেই ফুসফুসে ক্যানসারের কারণে অসুস্থ ছিলেন তিনি৷ সোমবার রাত ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীণ বাম নেতা। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া সিপিএম শিবিরে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়াণকালে মৃদুল দে’র বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর৷ ছাত্র জীবন থেকে সমাজ বদলের স্বপ্ন নিয়ে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সিপিআইএম এর যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর সদস্য ছিলেন দীর্ঘদিন৷ পরে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও হয়েছিলেন তিনি। তবে তিনি কোনওদিন ভোটে দাঁড়াননি। একাধারে সুলেখক, সুবক্তা, সাংবাদিক মৃদুল দে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর গত কয়েক মাস ধরে চিকিৎসা চলছিল। মঙ্গলবার নিউটাউনের চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট (CNCI) থেকে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বাড়িতে। মানিকতলায় বাসভবনে আত্মীয়, প্রতিবেশীরা শ্রদ্ধা জানাবেন তাঁকে। এরপর সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিআইএমের রাজ্য দফতর মুজাফফর আহমেদ ভবনে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে দলের মুখপত্র গণশক্তির দফতরে। সেখানে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন তিনি। গণশক্তির সহকর্মীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে।
বর্ষীয়াণ সিপিএম নেতার প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। মঙ্গলবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তৃণমূল নেতা লিখেছেন, ‘প্রবীণ সিপিএম নেতা, সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, গণশক্তির অন্যতম স্তম্ভ মৃদুল দের প্রয়াণে আন্তরিক শোক ও শ্রদ্ধা জানাই। বহু বছর আগে, সাংবাদিকতায় বাম শিবিরের খবর করার সূত্রে পরিচয়। অনিল বিশ্বাসের আস্থাভাজন ছিলেন। দীর্ঘকাল ধারাবাহিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠদের জানাই সমবেদনা।’