নিজস্ব প্রতিনিধি: আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় দুই গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই(CBI) ও ইডি(ED) বাংলায় একাধিক বিষয় নিয়ে তদন্ত করছে। সেই সব বিষয়ের অন্যতম হল কয়লা ও গরু পাচারের মামলা। আছে এসএসসি’র মামলাও। ইতিমধ্যেই এই ৩টি মামলায় তৃণমূলের অনেক কেষ্টুবিষ্টু হয় জেলে ঢুকেছেন, নাহয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হেফাজতে আছেন। কেউ কেউ আবার গা ঢাকাও দিয়েছেন। ঠিক এই রকম অবস্থায় প্রকাশ্য জনসমাবেশ থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) কচি নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য(Debangshu Bhattacharya)। তাঁর বিস্ফোরক দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এমনকি সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবাংশুর বক্তব্য নিয়ে নাকি ইতিমধ্যেই তথ্য জোগাড় করা শুরু করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর আধিকারিকেরা। সেক্ষেত্রে দেবাংশুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও দাবি করতে পারে সিবিআই।
ঠিক কী বলেছেন দেবাংশু? শনিবার বিকালে হাওড়া ময়দানে ছিল তৃণমূলের সমাবেশ। সেখানেই বক্তব্য রাখতে উঠে বিস্ফোরক দাবি করেছেন দেবাংশু। তাঁর দাবি, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের(Partha Chattopadhay) বান্ধবীর বাড়ি থেকে ৫০ কোটি পাওয়া গিয়েছে। আমরা জানি না, আদৌ কত কোটি পাওয়া গিয়েছে? সিবিআই কত কোটি পকেটে পুরেছে? ধরুন এমনও তো হতে পারে যে, ১০০ কোটি পাওয়া গিয়েছে। সিবিআই পঞ্চাশ কোটি পকেটে পুরেছে, আর টিভিতে বলেছে পঞ্চাশ কোটি। এই টাকাগুলি বিজেপির পার্টি ফান্ডে যাবে। ওই টাকা দিয়ে পোস্টার পড়বে, আপকিবার মোদী সরকার!’ দেবাংশুর এই দাবি নিয়েই এখন রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে। অনেকেই মনে করছেন দেবাংশু কার্যত সরাসরি সিবিআইকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের(Arpita Mukhopadhay) বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত ইডি, সিবিআই নয়। ইডির আধিকারিকেরা প্রথমে পার্থ’র বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন, পরে হানা দেন অর্পিতার ফ্ল্যাটে। গোটা ঘটনার সঙ্গে সিবিআইয়ের কোনও যোগই নেই। আর এখানেই বিপাকে পড়তে পারেন দেবাংশু। সূত্রে জানা গিয়েছে সিবিআই তাঁর বক্তব্য সংগ্রহ করে মানহানি মামলা দায়ের করার কথা ভাবছে।