নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ৮ অক্টোবর রেড রোডে কার্নিভাল (CARNIVAL)। প্যাণ্ডেল বাঁধার কাজ প্রায় শেষ। রেড রোড সাজানো হচ্ছে রং-বেরংয়ের আলোয়। কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলের প্রায় ৯৯টি প্রতিমা নিয়ে হবে কার্নিভাল। গত ২ বছর আতিমারির কারণে এই জৌলুস দেখা যায়নি। তবে এবারে জৌলুস বাড়ছে আরও। কারণ, ইউনেস্কোর বিশেষ মর্যাদা। অন্যান্য প্রতিমার বিসর্জন হলেও একটি প্রতিমার বিসর্জন হবে না!
জানা গিয়েছে, আগামী শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে হবে রেড রোডে কার্নিভাল। সেই কার্নিভাল চলবে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে। যেই পুজো কমিটির প্রতিমা শোভাযাত্রায় অংশ নেবে, সেই কমিটিগুলি চলতি বছরে জিতে নিয়েছে বিশ্ববাংলার কোনও না কোনও শারদ সম্মান। শোভাযাত্রায় থাকবে বিশেষ ট্যাবলো। গান, ধুনুচি-ছৌ নাচ সহ থাকবে অনেক কিছু। শোভাযাত্রায় যেমন পুজো কমিটিগুলির পক্ষ থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, তেমনই রাজ্যের পক্ষ থেকেও আয়োজিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠান। পুলিশ মেমোরিয়ালের সামনে দিয়ে এসে শোভাযাত্রা দাঁড়াবে মূল মঞ্চের সামনে। তারপর এগিয়ে যাবে বিসর্জনের জন্য।
তবে এই বছর বাবুবাগান সর্বজনীনের বিগ্রহ বিসর্জন হবে না। প্রতিপদের দিন এই প্রতিমা দেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE) বলেছিলেন, অসাধারণ এই মূর্তি আলিপুর মিউজিয়ামে রাখার জন্য। স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বছর পূর্তিতে এবারে বাবুবাগানের মণ্ডপ সেজেছিল ১৯৪৭ সাল থেকে আজ অবধি ভারতে যত ধরণের কয়েন তৈরি হয়েছে তার আদলে। ছিল সত্যিকারের কয়েনও। কয়েনের রেপ্লিকা ছিল প্লাস্টার অব প্যারিস দিয়ে তৈরি। দেবী অধিষ্ঠিতা ছিলেন কয়েনের মিউজিয়ামে। ১৬ ফুটের বৃহদাকার কয়েনে ছিলেন দেবী দুর্গা। প্রতিমা ১৪ ফুটের। মণ্ডপে ছিল কয়েন পার্ক-ও। থিম শিল্পী ছিলেন সুজাতা গুপ্ত। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায়, শুধু প্রতিমা নয়, সংরক্ষিত হবে মণ্ডপের বিভিন্ন অংশও।
কার্নিভালে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। থাকবেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরাও। তবে সৌরভ জায়া ডোনা গাঙ্গুলীর নৃত্য পরিবেশন করার কথা থাকলেও, তিনি অসুস্থতার কারণে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন না। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিনি উডল্যাণ্ড হাসপাতালে ভর্তি। এই বছর কলকাতার পুজোর আমেজ নিতে কার্নিভালে উপস্থিত থাকবেন বিদেশের একাধিক মানুষ। সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ পাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুজো কমিটিগুলির শোভাযাত্রা এগিয়ে যাওয়ার সময় বাজবে থিম সং।