এই মুহূর্তে




‘একজন ছেড়েছেন, আরেকজনও ছাড়ুন,’ নাম না করেই জহর-সুখেন্দুকে নিশানা দেবাংশুর

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: খেলা শুরু। দলকে যারা নিশানা বানাচ্ছেন, দলের তরফেও এবার তাঁদের পাল্টা নিশানা করা শুরু হয়ে গেল। আর জি কর কাণ্ডে(R G Kar Incident) রাজ্য সরকার এবং শাসকদলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তৃণমূলের(TMC) রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্রের প্রাক্তন আমলা জহর সরকার(Jawhar Sircar)। ওই একই ইস্যুতে এখন তৃণমূলের সঙ্গে যোগসূত্র ছিন্ন করেছেন দলেরই আরেক রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়(Sekhendu Shekhar Roy)। জহরের ইস্তফার বিষয়টি সামনে আসতেই, এবার দ্রুত প্রতি আক্রমণ শুরু করে দিল তৃণমূল। সুখেন্দুর ক্ষেত্রে কিন্তু তৃণমূল ধীরে চলোর নীতিই নিয়েছিল। তাতে ফায়দা তুলছিলেন সুখেন্দু। জহরকে কিন্তু সেই সময় দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের তরফে না হোক, দলেরই সদস্য হিসাবে রবি দুপুরে ট্যুইট করে নাম না করেই জহর আর সুখেন্দুকে নিশানা বানালেন তৃণমূলের তরুণ নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য(Debangshu Bhattacharya)।

আরও পড়ুন, রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ছেন জহর, চিঠি তৃণমূল নেত্রীকে

তা কী লিখলেন দেবাংশু? এদিন তিনি লিখেছেন, ‘একজন ছেড়েছেন, আরেকজনও ছাড়ুন। স্রোতের অনুকূলে তো কচুরিপানাও ভাসে, যদি উল্টো দিকে সাঁতার কাটতে নাই পারলেন তাহলে মানুষ জন্ম বৃথা! যুদ্ধের সময় যারা পালায় কিংবা গা বাঁচিয়ে চলে, ইতিহাস তাদের লজ্জার নজরে দেখে।’ বার্তা পরিষ্কার। দল ছাড়ো। কারও নাম না করেই এই ট্যুইট করেছেন দেবাংশু। তবে বুঝতে অসুবিধা নেই যে দুইজনের কথা তিনি বলতে চেয়েছেন নিজ ট্যুইটে তাঁরা জহর আর সুখেন্দু। জহর লম্বা চিঠি লিখেছেন তৃণমূলনেত্রীকে। সুখেন্দু কিন্তু কোনও চিঠি লেখার ধার ধারেননি। তিনি দিল্লিতে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদীদের মিছিলে শামিল হয়ে বলেছিলেন, ‘বিবেকের ডাকে রাস্তায় নেমেছি।’ সেই ঘটনার পরে দেশের একাধিক বিজেপি শাসিরত রাজ্যে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেই সব ঘটনা নিয়ে টুঁ শব্দটিও করেননি সুখেন্দু। তখন তিনি তাঁর কোনও বিবেকের ডাক শুনতে পাননি। আসলে গেরুয়া শিবিরের ডাক পেয়ে তিনি বিবেকের ডাক শুনতেই পাননি, বা শুনতে চাননি। তাঁর বিবেক এখন ঘুমিয়ে গিয়েছে।  

আরও পড়ুন, পেট্রোল পাম্পে তেল ভরে টাকা না দিয়ে পাম্পকর্মীকে পিষে দিল গাড়ি

এদিন সুখেন্দু জহরের প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘জহর সরকারের ইস্তফার খবর পেয়েছি। কিন্তু আমি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। আমি এর বিরোধিতাও করছি না। সমর্থনও নয়। আমি আমার মতো করে নাগরিক আন্দোলনের সঙ্গে আছি। একটা বিন্দু হিসেবে। একজন নাগরিক হিসেবে আমার সামান্য যা করণীয় করছি। সকলেই তো গোল দেয় না, সেঞ্চুরি করে না। সকলেই চ্যাম্পিয়ন হয় না। কিন্তু মাঠে নেমে তো খেলতে হবে। সাংসদের কাছে মানুষের একটা প্রত্যাশা থাকে। যে তিনি কোনও অন্যায়ের সঙ্গে থাকবেন না।’ সুখেন্দু এখন শুধু তৃণমূল শাসিত রাজ্যেই অন্যায় দেখতে পান। বিজেপি শাসিত রাজ্যে অন্যায়ের ছিঁটেফোঁটাও খুঁজে পান না। প্রসঙ্গত, শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তার কিছু দিন পরেই গরুপাচার মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরেই দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন জহর। দলের এক দিক পচে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। বাড়ির লোকেরা ও বন্ধুবান্ধবেরা তাঁকে রাজনীতি ছাড়তে বলেছেন বলেও দাবি করেছিলেন।

আরও পড়ুন, সরকারি জমি জবরদখলে অভিযুক্ত খোদ মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তদন্তে ভূমি দফতর

সেই সময় জহরের বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়িয়েছিলেন তৃণমূলের আর এক প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেছিলেন, ‘জহর সরকার কোনও দিন তৃণমূলের মিছিলে হাঁটেননি। ওকে সব চেয়ে লোভনীয় পদ রাজ্যসভার সাংসদ করেছিল দল। তিনি কিনা দলের ভিতরে না বলে প্রকাশ্যে দলবিরোধী কথা বলে দিলেন! এটা খুবই লজ্জার কথা। ওর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ তবে তৃণমূল তখন জহরের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। তবে এবার তৃণমূল নেতৃত্ব সতর্ক। জহরের ছেড়ে দেওয়া রাজ্যসভা আসনে উপনির্বাচন হবেই। তখন আর অরাজনৈতিক মুখ নয়। দলের পুরাতন সৈনিকদের মধ্যে থেকেই কাউকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যারা ঝড়ে জলে, রোদে বৃষ্টিতে দলের পাশে থাকবেন, দলের সঙ্গে হাঁটবেন, সাধারন মানুষের কথা শুনবেন, তাঁদের জন্য কাজ করতে পারবেন, তাঁদেরকেই তুলে আনা হবে এই সব পদে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দিনদুপুরেই ডাকাতি অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলির, মাত্র ৬.৫ কিমি দূরের গন্তব্যের ভাড়া ৪৩৬ টাকা!

মণ্ডপের ২০০ মিটারের মধ্যে প্রতিবাদ জানানো যাবে না, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্তসহায়কের বাড়িতে তল্লাশি ইডির

মুখ্যমন্ত্রীকে হুমকি IMA’র রাজ্য শাখার, ক্ষুব্ধ জনতা

অনিকেত মাহাতোর চিকিৎসার জন্য ৫ সদস্যের বোর্ড গঠন

ত্রিধারার মণ্ডপে ‘বিচার চাই’ শ্লোগান দেওয়া ৯ জনকে পুলিশ হেফাজতে পাঠাল আলিপুর আদালত

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর