নিজস্ব প্রতিনিধি: এক নয়। বার বার। একাধিকবার। এবং আবারও। দিল্লি থেকে বাংলায়(Bengal) উড়ে এলেন বিজেপির(BJP) নম্বর টু এবং দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)। অথচ তাঁর সেই সফরকে কিনা গুরুত্বই দিচ্ছেন না বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। অমিত শাহের ২ দিনের বঙ্গ সফরের ধারেকাছেও নেই দিলীপ। কার্যত এই শাহি সফরের মাঝে কোথাও দেখা মিলবে না দিলীপ ঘোষের। তিনি নিজের কর্মসূচি নিয়েই ব্যস্ত থাকবেন এই দুইদিন। যখন অমিত সফরের জেরে বঙ্গ বিজেপির প্রায় সব নেতানেত্রী গিয়ে হাজির হয়েছেন বীরভূম মাটিতে বা থাকবেন কলকাতার বুকে, সেই তালিকায় দেখাই মিলবে না বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির। তিনি থাকছেন এই সবের থেকে যোজন যোজন দূরে। এর আগেও শাহের সফরকালে দিলীপকে তাঁর ধারেকাছে দেখা যায়নি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার বঙ্গ সফরকালেও দিলীপকে দেখা যায়নি। এবার্বে আবারও সেই একই ঘটনার পুনঃরাবৃত্তি ঘটল।
আরও পড়ুন সিউড়ির সার্কিট হাউসেই শাহি ভোজ সারবেন শাহ, খোঁচা তৃণমূলের
কিন্তু শাহি সফরে কেন অনুপস্থিত দিলীপ? সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপ গুরুত্ব পান না অমিতের কাছে বা নাড্ডার কাছে। তাই কিছুটা অভিমানের জায়গা থেকেই নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখছেন তিনি। অস্বীকার করার উপায় নেই দিলীপ এখনও পর্যন্ত বঙ্গ বিজেপির সেরা সভাপতি। তাঁর সভাপতিত্বকালেই বাংলার বুকে বিজেপির সব থেকে বেশি বিস্তার ঘটেছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপির ১৮টি আসন প্রাপ্তি বা ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ৭৭টি আসন প্রাপ্তির ঘটনা দিলীপের আমলেই ঘটেছে। অথচ সেই ফলাফল বা সাফল্যকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব না দিয়ে দিলীপ ঘোষকে বঙ্গ বিজেপির সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই জায়গায় বসানো হয় সুকান্ত মজুমদারকে(Sukanta Majumdar) যার আমলে বাংলার বুকে একের পর এক নির্বাচনে বিজেপি শুধু হেরেই চলেছে তাই নয়, জায়গায় জায়গায় জামানত জব্দ হচ্ছে বিজেপির। দিলীপ যে সাফল্য বাংলার বুকে দেখিয়ে গিয়েছেন তার ধারে কাছে আসতে পারছেন না সুকান্ত।
আরও পড়ুন কেষ্টগড়ে অমিত শাহ, খুশির হাসি তৃণমূলে, কেন জানেন?
একই রকম ভাবে সামনে এসেছে শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) গুরুত্বও। বঙ্গ বিজেপিতে শুভেন্দু একা ও কোনঠাসা হচ্ছেন নিত্যদিন। তারপরেও তাঁকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার পদে বসিয়ে রাখা হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে গুরুত্বও দিয়ে চলেছে। অথচ শুভেন্দু যে যে নির্বাচনে দলকে জেতাবার দায়িত্ব নিয়েছিলেন সেই সব নির্বাচনে বিজেপি শুধু গোহারান হেরেছে তাই নয়, জামানতও খুইয়ে বসে রয়েছে। অর্থাৎ রাজ্য রাজনীতিতে শুভেন্দুর যে দাপট এতকাল ধরে চোখে পড়ত তা অস্তমিত বিজেপি পর্বে। অথচ দিলীপকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাই মূলত দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সুকান্ত-শুভেন্দুর গুরুত্ব থেকে যাওয়ায় দিলীপ নিজেকে এইসব কর্মসূচী থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। একইসঙ্গে প্রকট হয়েছে পদ্মের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও।