নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গ বিজেপির বিক্ষুব্ধদের প্রতি এবার বেশ কড়া মনোভাবই নিচ্ছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই রকম ইঙ্গিত এদিন মিলেছে দিলীপ ঘোষের তরফে। কেননা এদিন দিল্লি থেকে তিনি কড়া বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে। তিনি জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজেই দলে নতুন এসেছেন। বিজেপি তাঁকে পদ দিয়েছে, সম্মান দিয়েছে, মন্ত্রী করেছে। তিনি নিজেও একটি সামাজিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। ফলে এই বিষয়গুলি মাথায় রেখেই সকলের কথা বলা উচিত। বিজেপিতে নির্দিষ্ট কমিটি আছে। তার দায়িত্বপ্রাপ্তরা রয়েছেন। তাঁরাই পুরোটা দেখবেন। বিপ্লব করে খবরে থাকার চেষ্টা করবেন না।’ মনে করা হচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে এই কড়া বার্তা দিয়েছেন দিলীপ। একই সঙ্গে সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ রাজ্যের ভোট মিটলেই বঙ্গ বিজেপির বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে শান্তনু ঠাকুরের মন্ত্রিত্বে কোপ পড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে।
বিজেপি সূত্রে যেটা জানা গিয়েছে, বঙ্গ বিজেপির বিক্ষুব্ধরা এখন যে বিষয়টি তুলে ধরে বিক্ষোভ দেখাছেন তার পিছনে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি সঙ্ঘেরও সমর্থন রয়েছে। বিষয়টি এমন নয় যে বাংলায় নিজের ইচ্ছামত পদ বিলি করছেন বা দলকে পরিচালিত করছেন সুকান্ত মজুমদার বা অমিতাভ চক্রবর্তী। সাম্প্রতিক কালে বঙ্গ বিজেপিতে যে নতুন সাংগঠনিক রদবদল করা হয়েছে তার সবটাই হয়েছে সঙ্ঘের নির্দেশে আর তাতে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেরও সমর্থন রয়েছে। তাই বিক্ষুব্ধরা পদাধিকারীদের পরিবর্তনের যে দাবি তুলেছেন তা কোনও ভাবেই মান্যতা পাবে না। কার্যত বিক্ষুব্ধদের বিক্ষোভকে পাত্তা না দিয়ে তাঁদের কার্যত দলেই কোনঠাসা ও মূল্যহীন, গুরুত্বহীন করে দেওয়া বিজেপির চিরাচরিত নীতি। মনে করা হচ্ছে ৫ রাজ্যের ভোট মিটলেই এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেবেন শাহ আর নাড্ডা। তাতেই শান্তনু ঠাকুরের ডানা ছাঁটার পাশাপাশি বিক্ষুব্ধদের আরও কোনঠাসা করে দেওয়া হতে পারে।