এই মুহূর্তে




বঙ্গ বিজেপিতে ব্রাত্য দিলীপ ঘোষ! আমন্ত্রণ পেলেন না শমীকের অভিষেক সভায়




নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জল্পনার অবসান! বুধবার (২ জুলাই) কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ফোন পেয়ে তড়িঘড়ি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি প্রধান শমীক ভট্টাচার্য। তখন থেকেই জল্পনা, তবে কী এবার সুকান্ত মজুমদার জমানা শেষ হল? সুকান্তের উত্তরসূরী হচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য? দিন কয়েক আগে বিজেপির স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে দিল্লির ডাক পেয়েছিলেন শমীক ভট্টাচার্য, পাশাপাশি সেদিন সন্ধ্যায় জেপি নাড্ডার বাড়িতেও নৈশভোজের আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন শমীক ভট্টাচার্য। তখন থেকে এক প্রকার গুঞ্জন চলছিল যে, সুকান্তের পরবর্তীতে বঙ্গ বিজেপি সভাপতির দায়িত্ব পাবেন শমীক ভট্টাচার্য। গতকাল সেটাই একেবারে জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায় বুধবার। বিজেপি সূত্রের খবর ছিল, আর কেউ মনোনয়ন না দিলে শমীকই হচ্ছেন পরবর্তী বঙ্গবিজেপি র সভাপতি। সেইমতো বুধবার রাতেই শমীককে দলের পরবর্তী রাজ্য সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার কর্মসূচী রয়েছে। যেখানে দলের রথী মহারথী দের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু ডাকা হয়নি দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এমনকী আমন্ত্রণ জানানো হয়নি দলের আর এক প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়কেও।

কিন্তু কেন? উল্লেখ্য, রিঙ্কু মজুমদারকে বিয়ের পর থেকেই দলের সঙ্গে সম্পর্ক আলগা হচ্ছে দিলীপ ঘোষের। তাঁর বিয়েতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফুলের স্তবক পাঠানো, এরপর দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের সময়ে বউকে নিয়ে দিলীপের উপস্থিতর ফলেই বিজেপির নেতৃত্বের কার্যত রোষেই পড়েছেন দিলীপ। তবে সেকারণেই দিলীপের সঙ্গে সম্পর্ক আলগা করল কিনা বিজেপি তা জানা নেই। তবে শমীকের সংবর্ধনা কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ পাননি, এ নিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব দিলীপ ঘোষ তেমন কিছুই বলতে চান নি। তাঁর কথায়, এই অনুষ্ঠানে তিনি যাচ্ছেন না। কারণ তাঁকে আলাদাভাবে কোনও খবর দেওয়া হয়নি। তিনি সভাপতি নির্বাচনে ভোটারও ছিলেন না। যারা প্রদেশ পরিষদ সদস্য তাঁরাই আজকের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তাই তাঁর যাওয়ার কথা ছিল না। অন্যদিকে তথাগত জানিয়েছেন, আমন্ত্রণ পেলেও তিনি দলীয় কর্মসূচিতে যেতে পারতেন না। কারণ তিনি অসুস্থ। জ্বর হয়েছে তাঁর। গতকাল শমীক তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার জন্যে ফোন করেছিলেন। আজ তাঁর সংবর্ধনা কর্মসূচী আছে সেটাও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। তা তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন।

আসলে রাজ্য বিজেপির সভাপতি নির্বাচনের গোটা প্রক্রিয়া থেকেই দিলীপ ঘোষ দূরে ছিলেন। বুধবার সুকান্ত মজুমদারের উপস্থিতিতেই বিজেপির সল্টলেকের দফতরে শমীকের মনোনয়নপত্রের স্ক্রুটিনির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শুধু একটি বৈধ মনোনয়নপত্র জমা পড়ছিল। তার ভিত্তিতেই শমীক বঙ্গবিজেপির নতুন সভাপতি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাঁর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে শংসাপত্র তুলে দেওয়া দেবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় বিজেপির নিযুক্ত নির্বাচনী আধিকারিক রবিশঙ্কর প্রসাদ। কিন্তু দলের সেই কর্মসূচিতে ডাক পেলেন না দিলীপ ঘোষ। এ বিষয়ে বিজেপির একটু সূত্র জানিয়েছে, সাম্প্রতিক কালে দিলীপকে দলীয় কর্মসূচিতে ডাকা হচ্ছে না। কারণ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইছেন না যে তিনি দলের কোনও কর্মসূচীতে যোগ দিন। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে মমতার সঙ্গে দিলীপের আলোচনার কারণেই বিজেপি নেতৃত্বের রোষের মুখে পড়েছেন দিলীপ সেটাই ধারনা করেছেন অনেকে। পাশাপাশি দিলীপও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন। তাই সাম্প্রতিক একাধিক দলীয় বৈঠকে ডাক পাচ্ছেন না দিলীপ।এ বছর রাজ্য বিজেপির প্রথম বড় বৈঠক ছিল ৬ মে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতানেত্রীকে ডেকে পাঠিয়ে প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকেরা। সেখানে সুকান্ত, শুভেন্দু অধিকারী, দুই সংগঠন সম্পাদক, পাঁচ সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু দিলীপ ডাক পাননি। পরের দিন আরও একটি বিজেপির বড় বৈঠক ছিল, সেখানেও যেতে দেখা যায়নি দিলীপকে। শুধু বৈঠক নয়, বঙ্গবিজেপির নানা জনসংযোগ কর্মসূচিতেও যোগ দিতে বলা হচ্ছে না দিলীপকে। এতেই ধারনা বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক আলগা হচ্ছে দিলীপের।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তামান্না খাতুন খুনের ঘটনায় তদন্তকারী অফিসার বদল

‘জল ছাড়ার পরিমাণ কমাতে হবে, ফের ডিভিসি-কে চিঠি পাঠাল রাজ্য

পরিবারে রয়েছে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য, সেই বাড়িতেই ঠাঁই নেই মহিলার

প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ, ভিডিও রেকর্ড করে ব্ল্যাকমেইল, গ্রেফতার ২

যৌন নিগ্রহে অভিযুক্তের ২৫ বছরের সাজা ঘোষণা করল আদালত

বাটখারা দিয়ে শাশুড়িকে খুন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ পুত্রবধূকে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ