নিজস্ব প্রতিনিধি: বেফাঁস মন্তব্যের জন্য রাজ্য বিজেপির মুখিয়ার কুর্সি হারিয়েছেন। কিন্তু তাতেও বদলাননি দিলীপ ঘোষ। সোমবার ভবানীপুরের উপনির্বাচনে শেষ লগ্নের প্রচারে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তিনি। আর তার পরেই বিকালে ভবানীপুরের ভোট স্থগিত রাখার হাস্যকর দাবি জানিয়েছেন তিনি।বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন মুখিয়ার সেই দাবি নিয়ে হাসি-মশকরায় মেতে উঠেছেন নেটা নাগরিককরা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, হেরে যাওয়ার মতো লজ্জা এড়াতেই এমন অদ্ভুত দাবি জানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন মুখিয়া।
এদিন সকালে ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। দিলীপের সঙ্গীদের সঙ্গে তৃণমূল সমর্থকদের বচসা ও ধস্তাধস্তি হয়। আচমকাই তৃণমূল সমর্থকদের বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পোষা ভৃত্য সিআরপিএফের এক কর্মী। ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সকালের অশান্তির ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিকালে ভবানীপুরের ভোট স্থগিত রাখার মতো হাস্যকর দাবি করেন গোরুর দুধে সোনা খুঁজে পাওয়ার তত্ত্বের প্রবক্তা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ বলেন, ‘ভোটারদের কাছে পৌঁছতে না পারলে কী ভাবে ভোট হবে? সাধারণ মানুষ কী ভাবে ভোট দিতে যাবেন? যাঁরা বিজেপিকে ভোট দিতে চান তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে। আমরা নির্বাচন স্থগিত রাখার দাবি জানাচ্ছি।’
বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন মুখিয়া শুধু ভোট স্থগিত রাখার দাবিই জানাননি, নির্বাচন কমিশনকেও এক হাত নিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী রাখার জন্য কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ আমরা আগে থেকেই পুলিশকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ সহযোগিতা করেনি। নির্বাচন কমিশনকে আমরা বার বার জানিয়েছি। কিন্তু কমিশন সুরক্ষার কোনও ব্যবস্থা করেনি।’